নয়াদিল্লিঃ আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুই রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ। মাত্র ২৪ ঘণ্টা পরই পরিষ্কার হয়ে যাবে বিজেপি দুই রাজ্যে ফের ক্ষমতায় ফিরবে, নাকি কোনও অঘটন ঘটাবে ক্ষয়িষ্ণু কংগ্রেস। তার আগে অধিকাংশ সংস্থার এক্সিট পোল জানিয়ে দিয়েছে, দুই রাজ্যেই ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরছে গেরুয়া শিবির। মহারাষ্ট্রে বিজেরি-শিব সেনা জোটের আসনসংখ্যা ২০০ পেরিয়ে যাবে।কিন্তু, খানিক অবাক করে দিয়েই উলটো একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে-মাই অ্যাক্সিস।ইন্ডিয়া-টুডে-মাই অ্যাক্সিসের সমীক্ষা বলছে, হরিয়ানায় সরকার গড়তে টানাটানি পড়ে যেতে পারে বিজেপি শিবিরের। খাট্টারের রাজ্যে ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে ওই সমীক্ষা। ৯০ আসন বিশিষ্ট হরিয়ানা বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ৪৫। ইন্ডিয়া টুডে-মাই অ্যাক্সিস বলছে বিজেপি হরিয়ানায় ম্যাজিক ফিগারের আগেই থেমে যাবে। গেরুয়া শিবির পেতে পারে সর্বোচ্চ ৪৪টি আসন। আবার তাঁরা সর্বনিম্ন ৩২ আসনেও থেমে যেতে পারে। অন্যদিকে, কংগ্রেসও ম্যাজিক ফিগার পাচ্ছে না। হাত শিবির পেতে পারে সর্বোচ্চ ৪২ আসন। সর্বনিম্ন ৩০ আসন পেতে পারে কংগ্রেস। অন্যান্যদের মধ্যে দুষ্মন্ত চৌটালার জননায়ক জনতা পার্টি পেতে পারে ৬-১০ আসন। ৬-১০ আসন পেতে পারে নির্দল-সহ অন্যান্যরা। সেক্ষেত্রে জেজেপিই হবে কিংমেকার। নতুন সমীক্ষা প্রকাশ্যে আসতেই আশায় বুক বাঁধছে কংগ্রেস। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা হরিয়ানা প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন সভানেত্রী কুমারী শৈলজা বলছেন, “এক্সিট পোলকে গুলি মারুন। হরিনয়ানায় কংগ্রেসই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়বে।” বিজেপি অবশ্য এখনই ঘাবড়াচ্ছে না। ইন্ডিয়া টুডের সমীক্ষাকে তাঁরা নাকচ করে দিয়েছে। অন্যান্য সমস্ত এক্সিট পোলই বিজেপিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে। অন্যান্য এক্সিট পোলের মধ্যে একমাত্র টিভি ৯ ভারতবর্ষ এই লড়াইকে গেরুয়া শিবিরের জন্য কঠিন লড়াই হিসেবে তুলে ধরেছে। তাদের মতে বিজেপি জিততে পারে ৪৭টি আসন। কংগ্রেসের দখলে যেতে পারে ২৩টি আসন। অন্যান্যরা পেতে পারে ২০টি। বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষাও বলছে প্রত্যাশার তুলনায় কম আসন পাবে গেরুয়া শিবির। তাঁর প্রত্যাশা করেছিলেন ৭৫টি আসন। কিন্তু, তাঁদের অন্দরের সমীক্ষায় নাকি জানা গিয়েছে সর্বোচ্চ ৬০টি আসন জুটতে পারে। সর্বনিম্ন আসনসংখ্যা হতে পারে ৪৮।