কলকাতা: ১৯৯০ সালে হাজরা মোড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার ঘটনায় বেকসুর খালাস তৎকালীন সিপিএম নেতা লালু আলম । আজ তাঁকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করলেন আলিপুর অতিরিক্ত জেলা জাজ পুষ্পল শতপথি । ১৯৯০ সালের ১৬ অগাস্ট প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকা বনধে হাজরা মোড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর উপর হামলা হয় । লাঠির বাড়িতে মাথা ফেটে যায় মমতার । গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে । চার্জশিটে তৎকালীন নেতা লালু আলম-সহ ১২ জনের নাম ছিল । ১৯৯৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলায় একবার সাক্ষী দেন । ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আলিপুর আদালতের ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের এজলাসে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয় । মামলার শুনানিতে পাবলিক প্রসিকিউটার রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “চার্জশিটে যে ১২ জনের নাম ছিল, তাদের বেশিরভাগই মারা গেছে । দু’একজন পলাতক । পাশাপাশি, এই মামলায় সাক্ষ্যদানকারী হিসেবেও আর কাউকে খুঁজে পাওয়া অসম্ভব । ফলে এই মামলার কোনও ভবিষ্যৎ নেই । তাই মামলাটির নিষ্পত্তি করে দেওয়া হোক ।”অভিযুক্ত লালু আলমের আইনজীবী গণেশ মাইতি সরকারি কৌঁসুলির এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেননি । তবে মামলার শুনানির শুরুতে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনি-সামনি জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়েছিলেন । যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী বলে সেটা আর হয়ে ওঠেনি । আজ বিচারক এই মামলার নিষ্পত্তি করে দেন এবং লালু আলমকে বেকসুর বলে ঘোষণা করেন । লালু আলম বলেন, “দীর্ঘদিন পর একটা বোঝা নামল । আমি খুশি । তবে এটা আরও আগে হলে ভালো হত ।”