এনআরসি আর সিএএ বিরুদ্ধে উত্তাল গোটা দেশ। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল-সহ একাধিক রাজ্য জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যে এনআরসি হবে না। এমনকি এনআরসি-র বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির জোট সঙ্গী নীতিশ কুমারও। সূত্রের খবর, কর্নাটকেও নাকি এনআরসি মানবেন না ইয়েদুরাপ্পা। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। জানালেন, ছত্তিশগড়ে এনআরসি কার্যকর হলে রাজ্যের অর্ধেক জনসংখ্যা নাগরিকত্ব হারাবে। কারণ হিসেবে তিনি জানান, রাজ্যের অর্ধেকের বেশি মানুষের নিজস্ব জমি নেই। তাই তাঁরা জমি সংক্রান্ত কাগজ দেখাতে পারবেন না। অনেকের পূর্বপুরুষ নিরক্ষর ছিলেন, তাঁদের জন্মশংসাপত্রও পাওয়া যাবে না। অনেক আদিবাসী আবার দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে ছত্তিশগড়ে থাকতে শুরু করেছেন। তাই তাঁদের কাছে কী করে পুরনো নথি থাকবে? সেক্ষেত্রে তাঁরা নাগরিকত্ব হারাতে পারেন। তিনি বলেন, ‘ছত্তিশগড়ে ২.৮০ কোটি লোক রয়েছে। তাঁদের মধ্যে অর্ধেক নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারবেন না। তাঁদের না নিজেদের জমি রয়েছে, না জমির কোনও রেকর্ড। তাঁদের পূর্বপুরুষরা নিরক্ষর ছিলেন। অনেকেই অন্যান্য গ্রাম কিংবা রাজ্য থেকে এখানে এসেছে। কোথা থেকে তাঁরা ৫০-১০০ বছর পুরনো নথি আনবে। এটা মানুষের ওপর বাড়তি বোঝা। দেশের অনেক সংস্থা আছে যাঁরা অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে বের করতে পারবে। কিন্তু এজন্য সরকার কেন সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলতে চাইছেন।’ এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, ‘আফ্রিকায় ব্রিটিশদের দ্বারা আনা চিহ্নিতকরণ আইনের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন গান্ধীজি। সেকারণেই আমরা এনআরসি-র বিরুদ্ধে লড়াই করব। আর আমি আগেই বলেছি, এনআরসি হলে আমি এনআরসি ডকুমেন্টে সই করব না।’


