জেলা

কিশোরী সাঁতারু-র যৌন হেনস্থার ভিডিও ভাইরাল হতেই বরখাস্ত কোচ

বাংলার এক কিশোরী সাঁতারু বুধবারই যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছিল তার কোচের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালেই সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নামে ওই কোচের বিরুদ্ধে রিষড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বাংলার ওই সোনাজয়ী প্রতিশ্রুতিমান কিশোরী সাঁতারুর বাবা। কিশোরী সাঁতারুর বক্তব্য, গত ছ’মাস ধরে বাংলার ওই নামী কোচ তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করছেন। শেষ পর্যন্ত লুকনো মোবাইলে কোচের কুকীর্তির ভিডিও তুলে তা প্রকাশ্যে এনেছে জাতীয় পর্যায়ের ওই সাঁতারু। ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে বাংলা তথা দেশের ক্রীড়া মহল। বৃহস্পতিবারই সুইমিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া বরখাস্ত করেছে গোয়া রাজ্য সাঁতার সংস্থার প্রধান কোচ সুরজিৎকে। সুইমিং ফেডারেশনের সভাপতি দিগম্বর কামাত বলেছেন, ‘‌ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। বরখাস্ত করা হয়েছে ওই কোচকে। কোথায় ঘটনাটি হয়েছে তা জানি না। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’‌ কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী গোটা ঘটনায় ভীষণ বিরক্ত। তিনি পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, ‘‌ক্রীড়া মন্ত্রকের তরফে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই গোয়া রাজ্য সাঁতার সংস্থা বরখাস্ত করেছে সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। সুইমিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া দেখুক এই কোচ যেন ভবিষ্যতে আর কোথাও কাজ না পায়। সমস্ত ক্রীড়া সংস্থাকে এই মর্মে জানিয়ে দেওয়া হবে।’‌ গোয়া রাজ্য সাঁতার সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ‘‌কিশোরী সাঁতারু ও কোচ–দু’‌জনেই বাংলার। ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই কোচকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’‌  কিশোরী সাঁতারুর কথায়, ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ায়। হোটেলের ঘরের একটি গোপন জায়গায় মোবাইল রেখে রেকর্ডার চালু করে দিয়েছিল ওই সাঁতারু। এরপর ঘরে ওই কোচকে ঢুকতে দেখা যায়। সাঁতারুর পায়ে ক্রেপ ব্যান্ডেজ ছিল। কোচ প্রথমে চোটের জায়গাটি দেখেন। তার পরই যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটে। কিছুক্ষণ পর কোচ বেরিয়ে যান। ওই সাঁতারুর বাবা গতকাল জানান, তাঁর মেয়ে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। কথা বলার মতো জায়গায় নেই। তবে অন্য একটি ভিডিও বার্তায় সাঁতারুকে বলতে শোনা যায়, ‘‌গোয়ায় আসার পর থেকেই স্যর খারাপ ব্যবহার করছিলেন। বলতেন, কাউকে বলবে না। তোমার ভবিষ্যৎ রয়েছে। কিন্তু ওই নোংরামি আর সহ্য করা যাচ্ছিল না। তাই সবকিছু ফাঁস করার সিদ্ধান্ত নিই।’ সংশ্লিষ্ট কোচের বিরুদ্ধে আগেও একই অভিযোগ এনেছিলেন আরও কয়েকজন সাঁতারু।

https://www.facebook.com/BonnoTrollPage3/videos/721038624985016/