প্রবল জ্বর, বমি এবং প্রস্রাবের সংক্রমণে জেরে গত ২৪ ঘণ্টায় জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুরে একটার পর একটা শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। অজানা রোগের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে উপত্যকায়। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, শনিবার বিকেল পর্যন্ত ১০ জন শিশুর মৃত্যুর খবর মিলেছে। শুধু উধমপুর নয় এই সংক্রমণ ছড়িয়েছে উপত্যকার আরও নানা জায়গায়। জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও অনেক শিশু। রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত শিশুরা বেশিরভাগই রামনগর ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার রাত থেকে জ্বর নিয়ে তাদের ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, কোনও কারণে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল শিশুদের মধ্যে। তার থেকেই জ্বর, পেট ব্যথা, বমি। কোনও কোনও শিশুর মূত্রনালীতে সংক্রমণও পাওয়া গেছে। কী কারণে এই সংক্রমণ সেটা এখনও জানা যায়নি। রক্ত পরীক্ষায় এখনও এই সংক্রমণের জীবাণুকে চিহ্নিত করা যায়নি বলেই জানিয়েছেন চিকিত্সকরা। তাঁদের অনুমান, হামলাকারী কোনও ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া। এ ধরনের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া মানুষের শরীরে ঢুকে কিডনির কাজ দ্রুত নষ্ট করে দিতে পারে। ফলে মূত্রনালীর সংক্রমণ, প্রস্রাব কমে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। উধমপুরের চিফ মেডিক্যাল অফিসার কে সি ডোগরা বলেছেন, ‘রামনগরের ৪০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যেই এই রোগের কবলে পড়েছে শিশুরা। তবে আশপাশের আরও অনেক এলাকা থেকেই শিশুদের অসুস্থ হওয়ার খবর মিলেছে। মেডিক্যাল টিম তৈরি করে জায়গায় জায়গায় ক্যাম্প করা হচ্ছে।’ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চার থেকে ছয় বছর বয়সী শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এই সংক্রমণে। প্রত্যেকেরই বমি ও মূত্রনালীতে সংক্রমণ দেখা গেছে। চণ্ডীগড়ের পিজিআই, জম্মুর এসএমজিএস এবং লুধিয়ানার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে আরও অনেক শিশু। প্রত্যেকেরই রোগের উপসর্গ এক। জম্মু, উধমপুরের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে অভিজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়ে মেডিক্যাল টিম তৈরি করা হয়েছে। উপত্যকার নানা জায়গায় ক্যাম্প করে চিকিত্সা শুরু হয়েছে। উধমপুরের জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কথায়, যেসব এলাকা থেকে শিশুদের অসুস্থ হওয়ার খবর মিলেছে, সেখানকার পানীয় জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।