পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্রের ট্যাবলো প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ থেকে বাদ যাওয়ায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ আনল শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস। একই মত পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলেরও। তবে এই অভিযোগ খারিজ করে কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্র দাবি করেছে, ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্রের শাসক দলের নেতারা। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই এই ধরনের উদ্ভট বিষয় সামনে নিয়ে আসছেন তারা। দিল্লিতে ২৬ জানুয়ারির কুচকাওয়াজে পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্রের ট্যাবলো বাদ পড়া নিয়ে আজ মুখ খোলেন এনসিপি নেত্রী ও শরদ পওয়ারের কন্যা সুপ্রিয়া সুলে। টুইটারে বারামতীর সাংসদ একে পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্রের অপমান হিসেবে তুল ধরেন। তিনি লিখেছেন, ”প্রজাতন্ত্র দিবস গোটা দেশের ব্যাপার। রাজ্যগুলিকে কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া উচিত। কিন্তু কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বিরোধী দলের রাজ্য সরকারগুলিকে বঞ্চনা করার আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে কাজ করছে।” এ সঙ্গেই তাঁর মন্তব্য, ”স্বাধীনতা সংগ্রামে পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্র বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিল। আর আজ কেন্দ্রের এই মনোভাব নিন্দার যোগ্য।” এই সিদ্ধান্তের পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, তা জানতে চান শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। মহারাষ্ট্রের বিজেপি এ নিয়ে চুপ কেন, জানতে চান তিনি। বলেন, ”কংগ্রেস যদি কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকত, আর এই ধরনের ঘটনা ঘটত, বিজেপি কি চুপ করে থাকত?” কংগ্রেসের জাতীয় সম্পাদক সঞ্জয় দত্ত সংবাদ সংস্থাকে বলেন, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত দু’টি রাজ্যের মানুষ ও শহিদদের অপমান। কলকাতায় শাসক দল তৃণমূলও একই মনোভাব দেখিয়েছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের প্রতি বিমাতৃসুলভ মনোভাব তো রয়েইছে। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের কোনও সাফল্য মানুষের সামনে তুলে ধরতে দিতে চায় না নরেন্দ্র মোদী সরকার। মহারাষ্ট্রের বিজেপিও আজ পাল্টা আক্রমণে নেমেছে। টুইটারে তারা বলেছে, ”অতীতে নয় বার মহারাষ্ট্রের ট্যাবলো নির্বাচিত হয়নি। এর মধ্যে মাত্র দু’বছর কেন্দ্রে ও রাজ্যে কংগ্রেসের সরকার ছিল না।’