দেশে আক্রান্তের বিচারে শীর্ষ স্থানে সেই মহারাষ্ট্রই। এ রাজ্যে ১৪ হাজার ৫৪১ জন মানুষ এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন ২ হাজার ৪৬৫ জন রোগী। মৃত্যু হয়েছে ৫৮৩ জনের। মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মুম্বই (আক্রান্ত ৮,৮০০, মৃত ৩৪৩ জন), পুনে (আক্রান্ত ১,৩৯৬, মৃত ১০৬ জন), থানে (আক্রান্ত ১,১৪২, মৃত ২০ জন) এবং নতুন করে কোনও এক অজ্ঞাত এলাকা (আক্রান্ত ১,৫৬৭, মৃত ৩৫ জন)। মহারাষ্ট্রের পর সর্বাধিক আক্রান্ত গুজরাত। এ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৮০৪ জন। সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ১,১৯৫ জন রোগী। মৃত্যু হয়েছে ৩১৯ জনের। এ রাজ্যের আহমেদাবাদ (আক্রান্ত ৪,০৭৬, মৃত ২৩৪ জন), সুরাত (আক্রান্ত ৭০৬, মৃত ৩১) এবং ভদোদরায় (আক্রান্ত ৩৮৫, মৃত ২৭)। মহারাষ্ট্র ও গুজরাতের পর রয়েছে রাজধানী দিল্লি। নয়াদিল্লিতে এ পর্যন্ত মোট আাক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৮৯৮ জন। ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ১ হাজার ৪৩১ জন রোগী। মৃত্যু হয়েছে ৬৪ জনের। এখানকার সেন্ট্রাল দিল্লি (আক্রান্ত ১৮৪), দক্ষিণ পূর্ব দিল্লি (আক্রান্ত ১৩০), পশ্চিম দিল্লিতেই (আক্রান্ত ১২২) এবং কোনও এক অজানা এলাকায় (আক্রান্ত ৪ হাজার ১১০, মৃত ৬৪) আক্রান্ত হয়েছেন বেশি। তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। এ রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৩ হাজার ৫৫০ জন। সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ১ হাজার ৪০৯ জন রোগী। মৃত্যু হয়েছে ৩১ জন রোগীর। এই রাজ্যের চেন্নাই (আক্রান্ত ১,৭২৯ ও মৃত ১৮), কুদালোরে (আক্রান্ত ১৬১), কোয়েম্বাটুর (আক্রান্ত ১৪৬ এবং মৃত ১), ভিল্লুপুরম (আক্রান্ত ১৩৯, মৃত ২) ও তিরুপ্পুরেই (আক্রান্ত ১১৪) আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। এরপর তালিকায় রয়েছে রাজস্থান। এ রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৩ হাজার ৬১ জন। সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ১হাজার ৩৯৪ জন রোগী। মৃত্যু হয়েছে ৭৭ জনের। এ রাজ্যের জয়পুর (আক্রান্ত ১,০২২, মৃত ৪৪), যোধপুর (আক্রান্ত ৭২১, মৃত ১০) ও কোটায় (আক্রান্ত ২১২, মৃত ৭) সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। মধ্যপ্রদেশে মোট আক্রান্ত ২ হাজার ৯৪২। এঁদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৭৯৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৬৫ জনের। এ রাজ্যের ইন্দোর (আক্রান্ত ১,৬১১, মৃত ৭৭), ভোপাল (আক্রান্ত ৫৬৩, মৃত ১৫) এবং উজ্জ্বয়িনে (আক্রান্ত ১৬৬, মৃত ৩৫)। এরপর রয়েছে উত্তরপ্রদেশে মোট ২ হাজার ৭৬৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৮০২ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫০ জন রোগীর। এ রাজ্যের আগ্রায় (আক্রান্ত ৬২৮, মৃত ১৪), কানপুর নগরে (আক্রান্ত ২৬৬, মৃত ৫) এবং লক্ষ্ণৌয়ে (আক্রান্ত ২২৬, মৃত ১ জন)। উত্তরপ্রদেশের পর রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। এখানে মোট আক্রান্ত এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬৫০। সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ৫২৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জন রোগীর। এই রাজ্যের কুর্ণুল (আাক্রান্ত ৪৯১, মৃত ১০), গুণ্টুর (আক্রান্ত ৩৩৮, মৃত ৮ জন) এবং কৃষ্ণতে (আক্রান্ত ২৭৮ , মৃত ৮)। পাঞ্জাবে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৩৩ জন । মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। এ পর্যন্ত মোট ১২১ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। এ রাজ্যের অমৃতসর (আক্রান্ত ২১৮, মৃত ২), জলন্ধর (আক্রান্ত ১২৮, মৃত ৪) এবং লুধিয়ানায় (আক্রান্ত ১১০, মৃত ৫) সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। তেলেঙ্গানায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৫৮৫ জন রোগী। এ রাজ্যের হায়দরাবাদেই (আক্রান্ত ৫৯১, মৃত ২১) সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।