দেশ

দেশে করোনা আক্রান্তের বিচারে শীর্ষে মহারাষ্ট্র এবং দ্বিতীয় স্থানে গুজরাত

দেশে আক্রান্তের বিচারে শীর্ষ স্থানে সেই মহারাষ্ট্রই। এ রাজ্যে ১২ হাজার ৯৭৪ জন মানুষ এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন ২ হাজার ১১৫ জন রোগী। মৃত্যু হয়েছে ৫৪৮ জনের। মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মুম্বই (আক্রান্ত ৮,৮০০ জন, মৃত্যু ৩৪৩ জনের), পুনে (আক্রান্ত ১,৩৯৬ জন, ১০৬ জনের মৃত্যু) ও থানেতে (আক্রান্ত ১,১৪২, মৃত্যু ২০ জনের)। মহারাষ্ট্রের পর সর্বাধিক আক্রান্ত গুজরাত। এ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৪২৮ জন। সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ১,০৪২ জন রোগী। মৃত্যু হয়েছে ২৯০ জনের। এ রাজ্যের আহমেদাবাদ (আক্রান্ত ৩,৮১৭, মৃত ২০৮ জন), সুরাত (আক্রান্ত ৬৮৬, মৃত ৩০) এবং ভদোদরায় (আক্রান্ত ৩৫০, মৃত ২৫)। মহারাষ্ট্র ও গুজরাতের পর তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাজধানী দিল্লি। নয়াদিল্লিতে এ পর্যন্ত মোট আাক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫৪৯ জন। ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ১ হাজার ৩৬২ জন রোগী। মৃত্যু হয়েছে ৬৪ জনের। এখানকার সেন্ট্রল দিল্লি (আক্রান্ত ১৮৪), দক্ষিণ পূর্ব দিল্লি (আক্রান্ত ১৩০) ও পশ্চিম দিল্লিতেই (আক্রান্ত ১২২) আক্রান্ত হয়েছেন বেশি। তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। এ রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৩ হাজার ২৩ জন। সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ১ হাজার ৩৭৯ জন রোগী। মৃত্যু হয়েছে ৩০ জন রোগীর। এই রাজ্যের চেন্নাই (আক্রান্ত ১,৪৬৩ ও মৃত ১৭),কোয়েম্বাটুর (আক্রান্ত ১৪৬ এবং মৃত ১) ও তিরুপ্পুরেই (আক্রান্ত ১১৪) আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। এরপর তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে রাজস্থান। এ রাজ্যে মোট আক্রান্ত ২ হাজার ৮৮৬ জন। সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ১হাজার ৩৫৬ জন রোগী। মৃত্যু হয়েছে ৭১ জনের। এ রাজ্যের জয়পুর (আক্রান্ত ৯৯৩, মৃত ৪০), যোধপুর (আক্রান্ত ৬৩২, মৃত ৮) ও কোটায় (আক্রান্ত ২০৯, মৃত ৭) সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। মধ্যপ্রদেশে মোট আক্রান্ত ২ হাজার ৮৪৬। এঁদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৭৯৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৫৬ জনের। এ রাজ্যের ইন্দোর (আক্রান্ত ১,৫৬৮, মৃত ৭৬), ভোপাল (আক্রান্ত ৫৩২, মৃত ১৫) এবং উজ্জ্বয়িনে (আক্রান্ত ১৫৬, মৃত ৩০)। এরপর রয়েছে উত্তরপ্রদেশে মোট ২ হাজার ৬৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৭৫৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জন রোগীর। এ রাজ্যের আগ্রায় (আক্রান্ত ৫৯৬, মৃত ১৪), কানপুর নগরে (আক্রান্ত ২৫৬, মৃত ৪) এবং লক্ষ্ণৌয়ে (আক্রান্ত ২২৬, মৃত ১ জন)। উত্তরপ্রদেশের পর রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। এখানে মোট আক্রান্ত এ পর্যন্ত ১ হাজার ৫৮৩। সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ৪৮৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জন রোগীর। এই রাজ্যের কুর্ণুল (আাক্রান্ত ৪৬৬, মৃত ১০), গুণ্টুর (আক্রান্ত ৩১৯, মৃত ৮ জন) এবং কৃষ্ণতে (আক্রান্ত ২৬৬ , মৃত ৮)। পাঞ্জাবে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১০২ জন । মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। এ পর্যন্ত মোট ১১৭ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। এ রাজ্যের অমৃতসর (আক্রান্ত ২১৮, মৃত ২), জলন্ধর (আক্রান্ত ১২৪, মৃত ৪) এবং লুধিয়ানায় (আক্রান্ত ১১১, মৃত ৪) সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। তেলেঙ্গানায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮২ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৪৯০ জন রোগী। এ রাজ্যের হায়দরাবাদেই (আক্রান্ত ৫৮৮, মৃত ২১) সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

তারিখ- ০৪/০৫/২০২০, সময় – ১১:৩০মিনিট