কলকাতা

বাবুল নিগ্রহ কাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জনকে বেধড়ক মার, কাঠগড়ায় বিজেপি

কলকাতাঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে নিগ্রহ কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল তাঁর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চুলের মুঠি ধরে টানার ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার সেই দেবাঞ্জন বল্লভ (চট্টোপাধ্যায়)-কেই চুলির মুঠি ধরে বাস থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি-আরএসএস কর্মীদের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে দেবাঞ্জনের বান্ধবী প্রজ্ঞা রায়চৌধুরিকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।বুধবার সন্ধে নাগাদ বর্ধমানের আলিশা বাসস্ট্যাণ্ডে আক্রান্ত হন দেবাঞ্জন ও তাঁর বান্ধবী। দেবাঞ্জনের জামা ছিঁড়ে গিয়েছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতও লেগেছে। এদিন রাতেই বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানাতে যান দেবাঞ্জন ও তাঁর বান্ধবী। ডিএসপি (সদর) শৌভিক পাত্র থানায় এসে দেবাঞ্জনের সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, “দেবাঞ্জনের প্রতি আমার কোন সহানুভূতি নেই। যে ছেলে তার মায়ের আবেদনে সাড়া দেয় না তার নৈতিকতা ও আদর্শ নিয়ে আমার সংশয় রয়েছে। আমি তো ওদের নামে পুলিশে অভিযোগ জানাইনি । আমি চাইনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ ওদেরকে হেনস্তা করুক। রাস্তাঘাটে কে কাকে মারধর করলো আমার জানা নেই। দেবাঞ্জন অসভ্য একটা ছেলে। এবিভিপির নামে এসব চাপানোর চেষ্টা চলছে বলে আমি মনে করি। এবিভিপি-র ছেলেরা যদি হামলা করতো পরের দিনই পারতো। এটা ওদেরই কোনো পরিকল্পিত চক্রান্ত।” বর্ধমানের কালীবাজার এলাকায় টাউন স্কুলের আবাসনে শিক্ষক বাবা ও মায়ের সঙ্গে থাকেন দেবাঞ্জন। এদিন বর্ধমানের বাড়ি থেকে কলকাতায় যাচ্ছিলেন তিনি। আলিশা বাসস্ট্যান্ডে সন্ধ্যা ৭ টা ১০ মিনিট নাগাদ তিনি ও তাঁর বান্ধবী কলকাতাগামী বাসে উঠতে গেলে ছয়-সাত জন তাঁদের বাধা দেয়। তা সত্ত্বেও বাসে উঠে গেলে চুলের মুঠি ধরে টেনে-হিঁচড়ে দেবাঞ্জনকে বাস থেকে নামিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। রাতে বর্ধমান থানায় দাঁড়িয়ে দেবাঞ্জন বলেন, “যারা হামলা করেছিল তাদের চিনি না। তারা মারতে মারতে বলছিল, তোরা বাবুল সুপ্রিয়কে মেরেছিস তোদেরকে দেখে নেব।” দেবাঞ্জনের অভিযোগ, “বিজেপি-আরএসএস কর্মীরাই আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে।”