দেশ

ভুবনেশ্বরে ২৪ তম ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের বৈঠকে মুখোমুখি মমতা-শাহ

ভুবনেশ্বরঃ ভুবনেশ্বরে ২৪ তম ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের বৈঠকে মুখোমুখি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অমিত শাহ। এদিন সকাল দশটায় ভুবনেশ্বরের লোকসেবা ভবনে শুরু হয় ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের-এর বৈঠক। বিহার, বাংলা, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও আসেননি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। বৈঠকে বাংলার দাবিদাওয়া নিয়ে কথা হল। কিন্তু অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকেএনআরসি-সিএএ-এনপিআর নিয়ে কোনও কথা হয়নি মমতার। দুদফার বৈঠকে কথা হয় পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সম্পর্ক এবং দাবিদাওয়া নিয়ে। বাংলার বকেয়া টাকা থেকে কয়লার রয়্যালটি প্রসঙ্গ নিয়ে সরব হন মমতা। বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, লোকসেবা ভবনে ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের বৈঠক শুরুর আগে দিল্লি হিংসার প্রসঙ্গ তোলেন মমতা। দিল্লিতে শান্তি ফেরানোর জন্য অমিত শাহের কাছে আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে একথাই জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক শেষে মমতা এদিন বলেন, ”বাংলায় বঞ্চনা হচ্ছে, সে নিয়েই কথা হয়েছে। বৈঠকে দিল্লির ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। তবে সিএএ-এনআরসি-এনপিআর নিয়ে কোনও কথা হয়নি। আইনশৃঙ্খলা নিয়েও কোনও আলোচনা হয়নি”। বৈঠক শেষে নবীন পট্টনায়কের আমন্ত্রণে তাঁর বাসভবনে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন অমিত শাহ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নীতীশ কুমার। এদিকে, ভুবনেশ্বর বৈঠক ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে বাণ ছুড়েছে বিরোধী কংগ্রেস ও বামেরা। লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, ‘দিল্লি যখন জ্বলছে তখন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে কোনও নিন্দা শোনা যাচ্ছে না। উল্টে ভুবনেশ্বরে আগে থেকে গিয়ে অমিত শাহের জন্য অপেক্ষা করছেন। আসলে কী খেলা চলছে তা সবাই বুঝতে পারছেন।’ বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘দেশ যখন সাম্প্রদায়িকতার আগুনে জ্বলছে তখন এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার কোনও অর্থই নেই।’