লকডাউনে কর্মহীন হয়েছেন দেশের প্রায় ১৪ কোটি মানুষ। আশঙ্কা বাড়িয়ে দিল উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র সমীক্ষা। লকডাউনের জেরে থমকে গেছে দেশের অর্থনীতির চাকা। দোকানপাট-কলকারখানার বন্ধ। ছোট বড় সব ধরনের কোম্পানির গেটে তালা পড়েছে। কর্মসংস্থান হ্রাস পেয়েছে। ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে বেকারত্ব। নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে চাকরির ক্ষেত্রগুলি। সিএমআইই-র সমীক্ষা জানিয়েছে, এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত দেশে বেকারত্বের হার ছুঁয়ে ফেলেছে ২৬.২%। কর্মসংস্থান ফেব্রুয়ারির ৪০% থেকে এক ধাক্কায় নেমেছে ২৬ শতাংশে। অর্থাত্ কর্মক্ষেত্রের জায়গা ১৪% কমেছে। হিসাব করে দেখা যাচ্ছে, এতে দেশের প্রায় ১৪ কোটি মানুষ কাজ হারিয়ে ফেলেছেন। গ্রামে বেকারত্ব বেড়ে ২৬.৭%। শহরাঞ্চলে কর্মহীনতার হার গ্রামের থেকে একটু কম, ২৫.১%। বাজার বিশেষজ্ঞদের ধারনা, করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের মেয়াদ যদি আরও বাড়াতে হয়, সেক্ষেত্রে আগামীদিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। আরও কোটি কোটি মানুষের রুটিরুজি বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের ছোট এবং মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলি। একাধিক সমীক্ষা জানিয়েছে, বেশিরভাগ মানুষ কর্মচ্যুত হয়েছেন সেই সংস্থাগুলি থেকেই। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করা হচ্ছে, এই সময়ে কোনও কর্মচারিকে ছাঁটাই না করার জন্য। পাশাপাশি অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে তাঁদের মাসিক বেতনটুকু দেওয়া হয়।
Photo Courtesy: Twitter