শনিবার ঝাড়খণ্ডে একটি নির্বাচনী সমাবেশে নড্ডা বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে স্থানীয় সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষা করবে। প্রত্যেক বাংলাদেশিকে ঝাড়খণ্ড থেকে বের করে দেওয়া হবে। অনুপ্রবেশকারীরা উপজাতীয় মেয়েদের বিয়ে করলেও তাদের সন্তানদের কোনও উপজাতীয় অধিকার দেওয়া হবে না, জমির অধিকার দেওয়া হবে না। এদিন পালামু জেলার বিশ্রামপুরে নির্বাচনী সভা থেকে এই মন্তব্য করেন নড্ডা। এছাড়াও, মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) সরকারকেও অভিযুক্ত করেছেন নড্ডা। নিজেদের স্বার্থে রাজ্য সরকার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়েছে। এর পাশপাশি শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের দুর্নীতিবাজ, চোর বলে মন্তব্য করেছেন নড্ডা। তিনি হেমন্তের সরকারকে উৎখাত করে উন্নয়নের জন্য ঝাড়খণ্ডে বিজেপির নেতৃত্বে ডাবল-ইঞ্জিন সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়াও, বিজেপি সভাপতি আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রচেষ্টার উপর জোর দিয়েছেন। নড্ডা উল্লেখ করেছেন, যে আদিবাসী কল্যাণ বাজেট তিনগুণ হয়েছে, একলব্য মডেল স্কুলগুলির জন্য তহবিল একুশ গুণ বেড়েছে এবং দেশব্যাপী নির্মিত ১১ কোটি শৌচালয়ের অংশ হিসাবে আদিবাসীদের জন্য প্রায় ১.৫ কোটি শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। এর আগের দিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের স্বাগত জানানোর অভিযোগ তুলে হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ড সরকারকে কটাক্ষ করেছিলেন । তিনিও বলেছিলেন, বিজেপি রাজ্যে সরকার গঠন করলে এদের বের করে দেওয়া হবে। এছাড়াও শাহ ইউনিফর্ম সিভিল কোড (ইউসিসি) নিয়ে জেএমএম এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন। শাহ বলেছিলেন, অনুপ্রবেশকারীরা ঝাড়খণ্ডে ঢুকে বসতি স্থাপন করছে, উপজাতীয় জমি দখল করছে, দেশবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছে। বিজেপি সরকার গঠন তাদের বের করে দেওয়া হবে এবং একটি পাখিও প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। উল্লেখ্য, ৮১-সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভার নির্বাচন দুটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, ১৩ নভেম্বর এবং ২০ নভেম্বর। ভোট গণনা হবে ২৩ নভেম্বর।