দেশ

‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রত্যেক নাগরিক একজন সৈনিক’, মন কি বাত অনুষ্ঠানে বললেন প্রধানমন্ত্রী

আজ ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “করোদান বিরুদ্ধে দেশবাসী একযোগে লড়ছে। এই লড়াইয়ের চর্চা একদিন হবে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই জনগণ দ্বারা চালিত। এবং যারা প্রথম সারিতে রয়েছেন তাঁদের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই জনগণ দ্বারা চালিত। এই লড়াই জনগণ ও প্রশাসন একসঙ্গে লড়ছে। সৈনিক হিসাবে প্রতিটি নাগরিকই এই যুদ্ধ করে চলেছে।” এক নজরে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য-

  • পুরো দিশ এক দিকে, এক লক্ষ্যে লড়ছে। সবাই একে অপরকে সাহায্য করছে। প্রতিটি সেক্টর নিজেদের মতো করে উদ্ভাবন করে আসছে। ভারতের এই লড়াইয়ের চর্চা ভবিষ্যতে হবে।
  • মহমারীর মধ্যেই কৃষকরা কাজ করছে। তাদের অবদান ভোলার নয়।
  • কেন্দ্র-রাজ্য মিলেমিশে একসঙ্গে কাজ করছে
  • সবাই নিজের নিজের সামর্থ অনুযায়ী সাহায্য করছে।
  • অনেকে মাস্ক বানাচ্ছে, কেউ গরিবদের খাবার দিচ্ছে।
  • আমি দেশের ১৩০ কোটি মানুষকে প্রণাম করছি। সবাই নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী লড়ছেন। বিমান বা রেলওয়ে, তারা সকলেই আমাদের জীবনযাপনকে সহজ করার জন্য কাজ করছে
  • covidwarriors.gov প্ল্যাটফর্মে স্বেচ্ছেসবক, স্থানীয় প্রশাসন, চিকিত্‍সক, স্বাস্থ্যকর্মী সবাই রয়েছেন। সরকার এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে সরকার। চিকিত্‍সক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় অর্ডিন্যান্স আনা হয়েছে। সবাইকে রক্ষা করতে এটা জরুরি ছিল।
  • আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির বদল এসেছে। সাফাই কর্মীদের উপরে ফুল ছুঁড়ছেন লোকজন। পুলিশের উপরেও মানুষর ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। পুলিশ গরিব মনুষকে খাবার দিচ্ছে, ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছে। আরও অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন হবে।
  • কঠিন সময়ে আমার গুরুত্ব বুঝি। অন্য দেশকে আমরা ওষুধ দিচ্ছি। এটাই আমাদের সংস্কৃতি। মানবতার রক্ষায় কাজ করছে ভারত। নিজেদের জন্যও ওষুধ সঞ্চিত রয়েছে।
  • বিশ্ব জুড়ে মানুষ কোভিড-১৯-এর মোকাবিলায় আয়ুর্বেদ এবং যোগের দিকে ঝুঁকছেন। আমাদের পুরানো শিক্ষাগুলি সম্পর্কে আমাদের আরও আত্মবিশ্বাসী হওয়া দরকার। আমাদের যুবকদের এই শিক্ষাগুলি এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে
  • নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস যখন মানুষ অন্যের হাতে তুলে দেন, সেটাই সংস্কৃতি। এই রমজানকে সেবা-সমবেদনার প্রতীক হিসেবে দেখতে হবে
  • আমাদের মাস্ক পরা দরকার। এটা আমাদের প্রতিদিনের জীবনের একটি অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনটা আগে কখনও হয়নি। তবে এটাই নতুন বাস্তবতা।
  • যেখানে সেখানে তবে থুতু ফেলা যে এতটা বিপদ ডেকে আনতে পারে, সেটা আমরা আগে ভেবে দেখিনি। এখন আমাদের এই অভ্যাসটি ত্যাগ করতে হবে।
  • আমরা যেন অতি উত্‍সাহ দেখিয়ে কোথাও বেপরোয়া মনোভাব না দেখাই। সাবধানতা না দেখালেই, দুর্ঘটনা ঘটবে।