মুর্শিদাবাদ: বিজয়া দশমীতে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী থাকল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ। প্রকাশ্য দিবালোকে বাড়ির ভিতরে খুন হলেন একই পরিবারের তিনজন। অভিযোগের তির অজ্ঞাতপরিচয় দুস্কৃতীদের বিরুদ্ধে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, একেবারে ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরেই এই হত্যালীলা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার ১৬ নং ওয়ার্ডের কানাইগঞ্জ লেবুবাগানের ঘটনাটি ঘটে। যে ব্যক্তি এবং তাঁর পরিবারককে এভাবে হত্যা করা হয়েছে তিনি পেশায় স্কুল শিক্ষক। মৃতের নাম বন্ধুপ্রকাশ পাল (৩৫)। তাঁর স্ত্রী বিউটি মণ্ডল পাল (৩০) এবং আট বছরের ছেলে বন্ধুঅঙ্গন পালকেও হত্যা করে দুস্কৃতীরা।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দশমীর দিন পরিবারের কারও সাড়াশব্দ না-পেয়ে সন্দেহ হয়। তখনই খোঁজ নিতে গিয়ে বাড়ির ভেতরে শিশু-সহ তিনজনের ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখতে পান তাঁরা। ঘরের ভিতর খাটের উপর বন্ধুপ্রকাশের দেহ পড়ে ছিল। ঘরের মেঝেতে পড়েছিল তাঁদের ছেলে। পাশের আর একটি ঘরে বিউটির দেহ দেখতে পান তাঁরা। এরপরেই থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়।মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছেন, হত্যার কারণ স্পষ্ট নয়। কোনও দামি গয়না বা টাকা ঘর থেকে খোয়া যায়নি। পূর্ব পরিচিত কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মিষ্টভাষী ছিলেন গোঁসাইগ্রাম সাহাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল। আড়াই বছর আগে ওই এলাকায় বাড়ি তৈরি করে তাঁরা সেখানে থাকতে শুরু করেন। তাঁদের আদি বাড়ি সাগরদিঘি থানা এলাকায়। এলাকায় সকলের সঙ্গে তাঁদের ভাল সম্পর্ক ছিল বলেও জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।
