জেলা

বনগাঁ সীমান্তে মদ্যপ যুবকরা রাস্তায় ফেলে পেটাল গোয়েন্দা পুলিশকে

 বনগাঁ: থানা থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা আধিকারিককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর ও প্রাণ নাশের হুমকি দিল কয়েকজন মদ্যপ যুবক। মঙ্গলবার রাতে বনগাঁ থানার অদূরে স্থানীয় মতিগঞ্জ এলাকার ঘটনা। পুলিশ আধিকারিকের ওপর নির্বিচারে হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা বনগাঁ শহর জুড়ে।আক্রান্ত ওই গোয়েন্দা পুলিশের অভিযোগে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম প্রসেনজিৎ কুণ্ডু ও সঞ্জয় বিশ্বাস। বুধবার ধৃত দুই যুবককে বনগাঁ মহাকুমা আদালতে তোলা হয়। আক্রান্তের অভিযোগ মঙ্গলবার বিজয় দশমীর রাতে ওই গোয়েন্দা আধিকারিক মতিগঞ্জ এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর রায়ব্রিজে সাদা পোশাকে কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন।সেই সময় অভিযুক্ত যুবক প্রসেনজিৎ কুণ্ডু মদ্যপ অবস্থায় দ্রুত গতিতে বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় কর্তব্যরত ওই গোয়েন্দা আধিকারিককে ধাক্কা মারে। দ্রুতগতির গাড়ির ধাক্কায় ওই আধিকারিক রাস্তার পাশেই ছিটকে পড়েন। তৎক্ষনাত ওই গোয়েন্দা আধিকারিকের সহকর্মীরা এর প্রতিবাদ করলে ওই যুবক তার এক বন্ধুকে ফোনে ডেকে নেয়।মদ্যপ ওই যুবকের সঙ্গে গোয়েন্দা পুলিশের কর্মীদের তীব্র বাদানুবাদ চলতে থাকে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত দুই যুবকের সহপাঠী জনা কুড়ি অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের দল ঘটনাস্থলে হাজির হয় লাঠি বাঁশ নিয়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই কর্তব্যরত সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মীদের বেধড়ক মারধর করে অভিযুক্ত দুই যুবক ও তার সহপাঠীরা।পাশাপাশি চলতে থাকে প্রাণ নাশের হুমকি। পথ চলতি মানুষের চেষ্টায় কোনো রকমে রক্ষা পান পুলিশ কর্মীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় আহত তিন পুলিশ কর্মীকে নিয়ে যাওয়া হয় বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এরপরেই আক্রান্ত পুলিশ কর্মীদের অভিযোগে রাতেই অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশিতে নামে বনগাঁ থানার পুলিশ৷ গ্রেফতার করে দুই যুবককে।প্রসঙ্গত,সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় রাজ্য ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা পুলিশ বিশেষভাবে সক্রিয় বনগাঁয়।পুজোর মরশুমে কোনোরকম নাশকতা ও দুষ্কৃতীমূলক কাজের গতিবিধি রুখে দিতে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল গোটা শহর জুড়ে। ঘটনায় স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, পুলিশ আক্রান্তের ঘটনা এরাজ্যে নতুন কিছু নয়। তবুও উৎসবের মুহূর্তে এই ঘটনা বনগাঁ শহরে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল।