জেলা

বেলদায় সংকল্প যাত্রার মঞ্চে উলটো জাতীয় পতাকা, বিতর্কে বিজেপি

 খড়গপুর: জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মের দেড়শো বছর পূর্তি উপলক্ষে চলছে বিজেপির সংকল্প যাত্রা। আর তাতেই ব্যবহৃত হল উলটো জাতীয় পতাকা। তা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে৷ ঘটনার নিন্দায় সরব সব মহল। বিব্রত বিজেপি নেতারাও ভুল স্বীকার করেছেন।ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বেলদায়। এদিন বেলদা বাইপাস থেকে বেলদা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত বিজেপির সংকল্প যাত্রার একটি মিছিল পৌঁছয়৷ সেই মিছিলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সামনে ভারতমাতার সাজে একটি কন্যাশিশুর হাতে জাতীয় পতাকা ছিল। সেই পতাকাটিই ছিল উলটো করে লাগানো৷ এমনকী, বেলদা বাসস্ট্যান্ডে যাত্রাটি পৌঁছনোর পরেও বিষয়টি কারও নজরে পড়েনি৷ মঞ্চেও জেলা সভপতি-সহ অন্যান্য নেতাদের সামনে জাতীয় পতাকাটি উলটো অবস্থাতেই ধরা ছিল৷ আর সেই অবস্থায় ভারত মাতারূপী কন্যাশিশুদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তার আগে অবশ্য বেলদা বাসস্ট্যান্ডে গান্ধীমূর্তিতে মাল্যদান কর্মসূচি ছিল৷ এদিকে, বেলদায় গান্ধীমূর্তির সামনে উলটো জাতীয় পতাকা নিয়ে বিজেপির সভা হওয়ার পর গোটা বেলদাজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়৷ বিরোধীরা গোটা ঘটনার সমালোচনা করেন৷ চারদিকে উঠেছে নিন্দার ঝড়৷ প্রশ্ন উঠেছে, জাতীয়বাদ নিয়ে গলা ফাটানো বিজেপির নেতাদের এত বড় ভুল কি করে নজর এড়িয়ে গেল? এব্যাপারে তৃণমূলের নারায়ণগড় ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ বলেন, “যারা দেশের জাতীয় পতাকা ঠিক মতো ধরতে জানেন না আজ তারাই নিজেদের বড় দেশপ্রেমিক বলে দাবি করেন৷ যাঁদের আচরণ দেশদ্রোহী তাঁদের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না৷ গান্ধীজিকে যারা হত্যা করল তারাই আজ গান্ধী যাত্রা করছে৷” পাশাপাশি সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য ভাস্কর দত্ত বলেন, “বাচ্চা মেয়েটির কোনও দোষ নেই৷ যাঁরা বাচ্চা মেয়েটির হাতে উলটো জাতীয় পতাকা ধরিয়ে হাঁটাচ্ছেন তাঁরাই আজ দেশকে ভুল পথে চালিত করছে৷ মুখে জাতীয়বাদের কথা বলে৷ কিন্ত্ত জাতীয় পতাকার সম্মান করতে জানেন না৷” অপরদিকে, বিজেপির জেলা সভাপতি সমিত দাস গোটা বিষয়টি ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন৷ তবে যাঁরা এই ঘটনার সমালোচনা করছেন তাঁদের একহাত নিয়ে তিনি বলেন, “যাঁরা এই নিয়ে সমালোচনা করছেন তাঁরা কি করেছেন৷ দলের এই সংকল্প যাত্রা নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা উন্মাদনা তৈরি হয়েছে৷ বেলদা বাইপাস থেকে বেলদা বাস্ট্যান্ড পর্যন্ত যাত্রায় মোট নয়টি বাচ্চা মেয়ে ভারতমাতা সাজে সেজে হেঁটেছে৷ সেখানে কোনও ভুল হয়ে যেতে পারে৷ এই নিয়ে এত চিত্কার করার কোনও কারণ নেই।” আর বিজেপির জেলা সহ সভাপতি গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, “এটা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত ভুল৷ এর জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি৷”