করোনা নিয়ে গুজব ছড়ালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমনই বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলেঘাটা আইডি-র এক চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত বলে গুজব ছড়িয়ে ছিল৷ সেই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিল পুলিশ। স্বাস্থ্য দপ্তরের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করা হল চন্দ্রিমা ভৌমিক নামে এক যুবতিকে। জানা যাচ্ছে ওই যুবতীর বাবা শহরের একজন নামী ডাক্তার ৷ তবে গতকাল সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট রীতিমত ভাইরাল হয়ে যায়। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের এক চিকিৎসক নাকি কোরোনা আক্রান্ত। বিদ্যুৎ গতিতে ছড়ায় সেই গুজব। যদিও গতকাল স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় যে হাসপাতালের কোনও চিকিৎসক কিংবা স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা সংক্রমণ ঘটেনি। এরপরই স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ জানানো হয় । অভিযোগ পাওয়ার পরই শুরু হয় তদন্ত। তদন্তেই উঠে আসে চন্দ্রিমা ভৌমিকের নাম। বরানগর এলাকার বাসিন্দা চন্দ্রিমা পেশায় গায়িকা । তার বাবা একটি সরকারি হাসপাতালের নামী চিকিৎসক । যদিও বিপদ বুঝে চন্দ্রিমা সোশাল মিডিয়ায় ক্ষমা চেয়ে বলে একটি পোস্ট করেছিলেন । তার সাফাই, একটি গ্রুপ থেকে এই মেসেজ পেয়েছিলেন তিনি । পরে সেই পোস্ট তুলে নেন চন্দ্রিমা । লালবাজার সূত্রের খবর, কোন গ্রুপে থেকে তিনি এই মেসেজ পেয়েছিলেন। প্রয়োজনে তাদের কেও গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়াও করোনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন রকম ভুয়ো তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে। যা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন প্রশাসন। এই ধরনের মিথ্যা খবরের বিরুদ্ধে এবার কড়া ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করল রাজ্য পুলিস। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সিআইডি এসটিএফ এবং কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নজরদারি শুরু করেছে। কে বা কারা এগুলি ছড়াচ্ছেন তা চিহ্নিত করা হচ্ছে। করোনায় মৃত্যু সর্ম্পকিত ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে মেমারি থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিলিগুড়িতেও এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কেস রুজু করা হয়েছে জামিন অযোগ্য ধারায়। এই ধরনের ভুয়ো প্রচার কেউ ছড়ালে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা শুরু করা হবে বলে পুলিসের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এও বলা হয়েছে এই ধরনের খবর ছড়িয়ে আম জনতাকে বিভ্রান্ত না করার জন্য।




