রাজ্যে করোনা আক্রান্ত এক স্বাস্থ্যকর্তা প্রয়াত। মৃত্যু হল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সহকারি স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরের অন্যতম পদস্থ আধিকারিক ডাঃ বিপ্লবকান্তি দাশগুপ্তের। বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। তাঁর বাড়ি হরিদেবপুর এলাকায়। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি সল্টলেকের আমরি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ১৮ এপ্রিলে ভর্তির পর থেকেই তাঁর অবস্থা ছিল অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। টানা ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছিল তাঁকে। অবশেষে শনিবার রাত ১.৩০টা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত এটিই প্রথম করোনা আক্রান্ত কোনও চিকিৎসকের মৃত্যু। একইসঙ্গে ওয়েস্ট বেঙ্গল পাবলিক হেলথ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের প্রথম কোনও অফিসার এই পর্বে মারা গেলেন। প্রসঙ্গত, এই সার্ভিস ক্যাডারের অফিসাররা রাজ্যজুড়ে সরকারি স্বাস্থ্য প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত আছেন। বিপ্লববাবুর এই মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরপর দুটি ট্যুইট বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিপ্লববাবুর এই আত্মত্যাগ মানুষের হৃদয়ে সব সময়ের জন্য জায়গা করে নিল। পাশাপাশি বিপ্লববাবুর পরিবারের প্রতিও সমবেদনা ব্যক্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমরি হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার টিমের প্রধান ডা. সুশ্রুত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, করোনা আক্রান্ত বিপ্লববাবুর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক ছিল। আমরা যাবতীয় চেষ্টা করেছিলাম। প্রসঙ্গত , করোনায় আক্রান্ত হয়ে তাঁর স্ত্রীও বর্তমানে আমরি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ডাঃ বিপ্লব দাশগুপ্তের এই মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছে রাজ্য চিকিৎসকদের অন্যতম সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম। সংগঠন ইতিমধ্যেই একটি প্রেস বিবৃতি ইস্যু করেছে। সেটিতে করোনা টেস্ট এবং করোনা যুদ্ধে শামিল রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকদের জন্য আরও বেশি মাস্ক ও করোনা পরীক্ষার সরঞ্জামের বন্দোবস্ত করার দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের শারীরিক অবস্থা জানাতে রোজ একটি পৃথক মেডিক্যাল বুলেটিন জারি করারও দাবি জানিয়েছে তাঁরা।এই মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কোভিড যুদ্ধে উনি যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন তা অনস্বীকার্য। উনি চিরকাল আমাদের হৃদয়ে থাকবেন। ওনার পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।”