সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই আইন কখনওই বিদেশি কোনও রাষ্ট্রের মতামতের ভিত্তিতে প্রভাবিত হবে না। সিএএ বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল গোটা দেশ। বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েও চালিয়ে খেলতে চাইছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও তুরস্ক দিল্লির সমালোচনায় মুখর হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কখনও বা প্রাক্তন সেনাপ্রধান যে যেমন সুবিধা পাচ্ছেন তেমনই সিএএ-র পক্ষে ও বিক্ষোভকারীদের বিপক্ষে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এবার মুখ খুললেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশজুড়ে ভারতের সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিবর্তন ঘটাবে না। সংবিধানকে বিকৃত করবে না জাতীয় নাগরিকপঞ্জিও (এনআরসি)। দূতাবাস ও হাইকমিশনগুলির মাধ্যমে এ কথা অন্য দেশগুলিকেও জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, সিএএ কার্যকর করা হবে না বলে কেরল বিধানসভায় যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, তার কোনও আইনি বা সংবিধানিক বৈধতা নেই বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। তিনি বলেছেন, ”নাগরিকত্ব আইন কোনও রাজ্যের এক্তিয়ারে পড়ে না। তা পড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের এক্তিয়ারে। তাই কোনও রাজ্য বিধানসভায় তার বিরুদ্ধে প্রস্তাব গ্রহণ করে তা খারিজ করা সাংবিধানিক প্রথা নয়।” এদিনই কর্নাটকে একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সিএএ বিরোধী আন্দোলনে মদত দেওয়ার জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করে বলেছেন, ”পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর যে সব অত্যাচার হয়, তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হলে উচিত কাজ হত।”