মণিপুরে নতুন করে হিংসাত্মক ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে বিষ্ণুপুর এবং চূড়াচাঁদপুরের সীমানা এলাকায় গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়। যদিও রবিবার রাজ্যে জারি করা কার্ফু শিথিল করা হয়েছে। সকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত জনজীবন সচল থাকবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা সকলেই মেইতি সম্প্রদায়ের। বিষ্ণুপুরের খোইজুমান তাবি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনজন গ্রাম সেবক হিসেবে রাত পাহারা দিচ্ছিলেন। তখন অতর্কিতে গুলি ছুটে আসে। বিষ্ণুপুরে ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জানান, তাঁরা একটি অস্থায়ী ব্যাঙ্কারে ছিলেন। গ্রাম পাহারার জন্য এই ব্যবস্থা নিজেরাই করেছেন বাসিন্দারা। রাতবিরেতে যাতে ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা না ঘটে সেজন্য তারা পাহারা দেওয়ার সময় উল্টোদিক থেকে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। মেইতিদের অভিযোগ, কুকিরা গুলি চালিয়েছে। স্থানীয় এক গ্রামবাসী জানান, কুকিরা ড্রোন পাঠিয়ে দেখে নেয় যে, মাত্র ৭ জন গ্রাম পাহারা দিচ্ছেন। তারপরই প্রায় জনা ৩০ কুকি এসে ব্যাঙ্কার তছনছ করে এবং গুলি করে তাঁদের কাছে থাকা অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর মৃতদেহগুলি স্থানীয় বিধায়কের বাড়ির সামনে নিয়ে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান মেইতিরা। তাঁদের অভিযোগ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসেও কাজ হয়নি। এখনও কুকিরা তাঁদের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, মেইতিরাও পাল্টা হিসেবে সানগেং এলাকার কুকিদের বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।