৩১ জন মাওবাদীকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। ছত্তিশগড় পুলিশ এবং সিআরপিএফ আধিকারিকরা এই তথ্য দিয়েছেন। বীজাপুরে এক সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ আধিকারিকরা এই তথ্য দিয়েছেন। এই বৈঠকে সিআরপিএফের ডিজি এবং ছত্তিশগড় রাজ্য পুলিশের ডিজি হাজির ছিলেন।কেরেগুট্টা নকশাল অভিযানে মোট ৩১ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে ৷ এই অপারেশনটি ১৬ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলেছিল। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে এই অভিযানে, এক কোটি ৭২ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষিত মাওবাদীদের নিকেশ করা হয়েছে। যার মধ্যে ২৮ জন মাওবাদীকে শনাক্ত করা হয়েছে। বাকি তিন মাওবাদীকে শনাক্ত করা হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনী মাওবাদীদের মোট ২১৪টি বাঙ্কার ধ্বংস করেছে। মাওবাদীদের প্রায় চারটি কারিগরি ইউনিটও ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চারটি লেদ মেশিন এবং বিজিএল লঞ্চার এবং নকশালপন্থীদের বিজিএল সেল। নকশালরা লেদ মেশিন ব্যবহার করে এটি তৈরি করত। এই সাংবাদিক বৈঠকে সিআরপিএফ ডিজি জ্ঞানেন্দ্র প্রতাপ সিং বলেন, “যে আমরা বস্তার এবং বীজাপুরের সেই স্কুলগুলিকে আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার দিয়েছি যেগুলি মাওবাদীরা ধ্বংস করেছিল ৷ আমরা এই ধরনের স্কুল ফের স্থাপন করব। আমাদের অভিযান মাওবাদীদের উপর বড় আঘাত এনেছে। মাওবাদীদের শীর্ষ নেতারা যেখানে জড়ো হয়েছিলেন আমরা সেই জায়গায় ব্যবস্থা নিয়েছিলাম এবং তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করতে আমরা সফল হয়েছিলাম।” তিনি আরও বলেন, “আমরা মাওবাদীদের চারটি কোম্পানি ধ্বংস করেছি যারা অস্ত্র তৈরি করছিল। মাওবাদীরা তাদের নিজস্ব নকশালদের চিকিৎসার জন্য যে দুর্গগুলি তৈরি করেছিল, আমরা সেগুলিও ধ্বংস করেছি। এই লোকেরা যেভাবে জঙ্গলে আইইডি পুঁতে রাখত তাতে গ্রামবাসীরা এর শিকার হচ্ছিল। আমরা মাওবাদীদের সেই আইইডি নেটওয়ার্কও ধ্বংস করেছি। মাওবাদীদের পরিকল্পনার ক্ষেত্রে এটিই সবচেয়ে বড় ধাক্কা ৷”
