জেলা

তৃণমূলের ঝড় নিশ্চিহ্ন বিরোধীরা, ৬ কেন্দ্রেই জামানত হারিয়ে ‘শূন্য’ বাম-কংগ্রেস

আরজি কর কাণ্ডের পরে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে কম আক্রমণের মুখে পড়তে হয়নি। টানা আন্দোলনে সরকারকে কিছুটা হলেও চাপে ফেলেছিল বিরোধীরা। কিন্তু ভোটবাক্সে দেখা গেল আরজি কর কাণ্ডের কোনও প্রভাবই পড়েনি।‍ হাড়োয়া এবং সিতাইতে তৃণমূলের ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল বিরোধীরা। হাড়োয়াতে নিকটবর্তী এআইএসএফ প্রার্থী পিয়ারুল ইসলামকে ১,৩১,৩৮৮ ভোটে হারাল তৃণমূল। পাশাপাশি সিতাইতে নিকটবর্তী বিজেপি প্রার্থী দীপক রায়কে ১,৩০,৬৩৬ ভোটে হারালেন ঘাসফুল প্রার্থী সঙ্গীতা রায়। দুই কেন্দ্রেই জামানত বাজেয়াপ্ত  হল সব বিরোধী প্রার্থীর।‍ হাড়োয়া এবং সিতাইতে তৃণমূলের ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল বিরোধীরা। হাড়োয়াতে নিকটবর্তী এআইএসএফ প্রার্থী পিয়ারুল ইসলামকে ১,৩১,৩৮৮ ভোটে হারাল তৃণমূল। পাশাপাশি সিতাইতে নিকটবর্তী বিজেপি প্রার্থী দীপক রায়কে ১,৩০,৬৩৬ ভোটে হারালেন ঘাসফুল প্রার্থী সঙ্গীতা রায়। দুই কেন্দ্রেই জামানত বাজেয়াপ্ত  হল সব বিরোধী প্রার্থীর। রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে হাড়োয়া, সিতাই, নৈহাটি, তালড্যাংড়া, মেদিনীপুর,মাদারিহাট- সব জায়গাতেই বাম-কংগ্রেসের আসন শূন্য। এবার আসন সমঝোতা না করে আলাদা লড়েছিল বাম-কংগ্রেস, তাতেও লাভ কিছু হয়নি। ছয় কেন্দ্রেই জামানত জব্দ হয়ে উল্টে শূন্য থেকে মহাশূন্য হল এই দুই দল। বামেদের হয়ে কিছুটা মুখ রাখল আইএসএফ। হাড়োয়াতে ২৫,৬৮৪টি ভোট পেয়ে দুনম্বরে শেষ করলেন আইএসএফ প্রার্থী পিয়ারুল ইসলাম।মাদারিহাটে নোটার সঙ্গে জোর লড়াই চলল বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের। যেখানে নোটা পেয়েছে ২৮৫৬টি ভোট, সেখানে বামফ্রন্ট ৩৪১২ এবং কংগ্রেস ৩০২৩টি ভোট। তালড্যাংড়া, মেদিনীপুরে নোটার সঙ্গে জোর লড়াই করল কংগ্রেস। আরজি কর কাণ্ডের মতো এত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতেও দেখা গেল শাসকদলের ভোটব্যাঙ্কে কোনও প্রভাবই পড়েনি।