দেশ

দুই মুসলিম মাংস বিক্রেতাকে মারধর করে মুখে প্রস্রাব করায় অভিযোগ উঠল দিল্লি পুলিশের ৩ কর্মী সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে

দুই মুসলিম মাংস বিক্রেতাকে মারধর করে মুখে প্রস্রাব করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের এএসআইসহ সাত জনের বিরুদ্ধে ৷ মারধর থেকে শুরু করে ছিনতাইয়েরও অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে ৷ শুধু তাই নয় ওই মাংস বিক্রেতাদের অভিযোগ ঘটনার প্রতিবাদ করলে মুখে প্রস্রাব করে তাদের খুনের হুমকিও দিয়েছেন পুলিশকর্মীরা ৷ পালটা অভিযুক্তদের পুলিশ গোরক্ষক হিসাবে চিহ্নিত করেছে ৷ সূত্রে খবর আনন্দ বিহার এলাকায় দুই মাংস বিক্রেতার গাড়ি একটি স্কুটারকে পিছন থেকে আচমকা ধাক্কা মারে। যা নিয়ে বচসার সূত্রপাত ৷ অভিযোগ স্কুটার চালক তাদের কাছে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪ হাজার টাকা দাবি করতে থাকেন। ওই মাংস বিক্রেতাদের অভিযোগ ঘটনাস্থলের অদূরেই পুলিশের একটি পিসিআর ভ্যান দাঁড়িয়ে ছিল ৷ বচসা দেখে কয়েকজন পুলিশ কর্মীl এগিয়ে এসে মাংস বিক্রেতাদের থেকে কার্যত আড়াই হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে স্কুটার চালককে দিয়ে দেয় ৷ পুলিশের কাছে

দায়ের করা অভিযোগে মাংস সরবরাহকারীরা জানিয়েছে স্কুটার চালক চলে যেতেই তাদের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা দাবি করে ওই পুলিশ কর্মীরা ৷ এমনকী টাকা নাদিলে থানায় নিয়ে যাওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। ওই পরিমান টাকা দিতে অস্বীকার করায় তিন পুলিশ কর্মী মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ ৷ আরও পড়ুন কেন্দ্রীয় বাহিনীতে অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ ঘোষণা কেন্দ্রেরমাংস বিক্রেতাদের আরও অভিযোগ পিসিআর ভ্যানে থাকা পুলিশ কর্মীরা আরও চারজনকে ডেকে এনে তাদের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। অভিযুক্তরা দুই ব্য়বসায়ী নবাব এবং শোয়েবকে আটকে রেখে মারধর করে ৷ ছুরি দিয়ে তাদের হাত কাটারও চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ। এরপরই অভিযুক্তরা তাদের মুখে প্রস্রাব করে দেয় ৷ এই ঘটনার পরই দুই ব্য়বসায়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলেও অভিযোগ পুলিশ প্রথমে এফআইআর নিতে অস্বীকার করলেও ৪ দিন পর মামলা দায়ের করা হয় ৷ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ সূত্রের খবর এই ঘটনায় একজন সহকারী সাবইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন নবাব এবং শোয়েবের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ ইতিমধ্য়েই ৩ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে ৷ যাদের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।”