পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে
২ দিনের ত্রিপুরা সফরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার দুপুরে আগরতলা পৌঁছে পশ্চিম ত্রিপুরার চতুর্দশ দেবতার মন্দিরে পুজো দিলেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আশাপাশ থেক মাইকে ‘জয় শ্রী রাম’ ও বিজেপিতে থাকাকালীন বাবুল সুপ্রিয়র গলায় ‘এই তৃণমূল আর না’ গান বাজতে শোনা গিয়েছে। এর পরই তোপ দাগলেন ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের দিকে। বললেন, যাঁরা নিজেদের হিন্দুধর্মের ধারক-বাহক মনে করেন, তারা আমাকে বাধা দেওয়ার জন্য মন্দির চত্বরে ডিজে বক্স বাজাচ্ছে। একটাই কথা বলব, পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে। তারপর বিপ্লব দেবকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ‘আমাকে জব্দ করতে গিয়ে এরা দেবতাকেও ছাড়ছে না। মন্দিরে এরা ডিজে বক্স বাজাচ্ছে। ত্রিপুরায় এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বে না তৃণমূল’। রবিবার ত্রিপুরায় সারা দিনই বেশ কয়েকটি কর্মসূচি রয়েছে অভিষেকের। এরমধ্যে দুপুরে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারার পর বিকেলে দলীয় নেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করার কথা। তার আগেই জনপ্রিয় মন্দিরে পুজো
দিলেন তিনি। মন্দির থেকে বেরিয়েই তিনি বিজেপিকে খোলা চ্যালেঞ্জ জানালেন। ওই রাজ্যের পরিকাঠামো ও উন্নয়নের ঘাটতির প্রসঙ্গ তুলেও বিজেপি সরকারকে বিঁধলেন। বললেন, ‘পরিকাঠামোর উন্নয়ন বিন্দুমাত্র হয়নি। উন্নয়নের মডেলে লড়াই হোক ত্রিপুরায়। ত্রিপুরায় রাস্তাঘাট যেন মরণফাঁদ। হাসপাতালগুলিরও করুণ দশা। কিন্তু বাংলায় দেখুন, কত উন্নতি হয়েছে’। এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিষেক বললেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলুন দেশের কত উন্নতি হয়েছে। আমি বাংলার রিপোর্ট কার্ড নিয়ে যাব’। তিনি আরও বলেন, ত্রিপুরাকে মগের মুলুক বানিয়ে রেখেছে বিপ্লব দেবের সরকার। রাস্তা যেন মরণফাঁদ। চাকরিক্ষেত্রে দুর্নীতি হচ্ছে। আমরা এই সবের বিরুদ্ধে লড়াই করব। আগামী বছরই ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট। আর ওই রাজ্য যে তৃণমূলের পাখির চোখ সেটা রাখঢাক না রেখেই জানিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, এটি বিপ্লব দেবের শেষের শুরু। প্রচারের তিন মাসের মধ্যেই রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির বিরুদ্ধে একমাত্র আমরাই লড়াই করছি। যেখানে যাচ্ছি সেখানে ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেখতে পাচ্ছি। মানুষের পাশে আছি আমরা। লড়াই করে বিজেপিকে হারাব।