গোয়ায় পদে পদে বাধা পাচ্ছে দলের প্রার্থীরা। বিজেপির ইশারায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন বাধা দিচ্ছে তৃণমূলকে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সামনে গোয়া নিয়ে একগুচ্ছ নালিশ জানিয়ে এল তৃণমূল। দাবি করল, গোয়ায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় তৃণমূল। কিন্তু তাঁদেরই পদে পদে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। মনোনয়ন পর্বও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রচারে বেরিয়েই পদে পদে বাঁধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এরাজ্যের শাসকদলের দাবি অবাধ এবং সুষ্ঠু ভোট হলেই গোয়ার মাটিতে ভাল ফল করবে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সৌগত রায়ের নেতৃত্বে চার সদস্যের এক প্রতিনিধিদল সেরাজ্যে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনেরই দাবি জানিয়ে এসেছে। ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, আবীর বিশ্বাস এবং শান্তনু সেন। এই প্রথম গোয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল। গত ২১ জানুয়ারি মাঝরাতে পানাজিতে তৃণমূলের পার্টি অফিসে হঠাত হানা দেয় নির্বাচন কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল। সেসময় পার্টি অফিসে কেউ না থাকা সত্ত্বেও অফিসের সামনেকার হোর্ডিং খুলে দেওয়া হয়। মূলত সেই নিয়েই এদিন অভিযোগ জানিয়ে এসেছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। দিল্লিতে কমিশনের ফুল বেঞ্চের সামনেই নিজেদের বক্তব্য পেশ করেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। বৈঠক শেষে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, “আমরা ন্যায়বিচার চাই। কমিশনের সঙ্গে কথা বলে সন্তুষ্ট। আমাদের অভিযোগ ওঁরা শুনেছেন। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, সি-ভিজিল অ্যাপে কেউ অভিযোগ করলে ১০০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাঝরাতে কেউ বদমায়েশি করে সি-ভিজিল অ্যাপে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। যাতে আমাদের উপর হানা দেওয়া হয়। সেকারণেই নির্বাচন কমিশন আমাদের অফিসে হানা দেয়।”