দেশ

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ কেজরিওয়ালের, দিল্লি পুলিসের পরের টার্গেট মণীশ সিসোদিয়া

দিল্লিতে আপ সরকারের সমস্ত মন্ত্রী ও বিধায়ককে জেলে পুরে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের গ্রেফতারি নিয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, আমার কাছে নির্দিষ্ট সূত্রের খবর আছে, এর পরের টার্গেট দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। তাঁকে ফ্যাসাদে ফেলার জন্য দিল্লি পুলিস সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এরপরই প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, আপনি দয়া করে আমাদের সব মন্ত্রী ও বিধায়ককে গ্রেফতার করে জেলে পুরে দিন। কেজরি বলেন, আমি বিশেষ সূত্র মারফত খবর পেয়েছি, কেন্দ্রীয় সরকার দুর্নীতির ইস্যুতে এবার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশকে গ্রেফতার করবে। তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা সাজানোর চক্রান্ত চলছে। দিন কয়েকের মধ্যে যদি মণীশ গ্রেফতার হয়, তা হলে আমি আশ্চর্য হব না। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে বলেন, সমস্ত তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে আমাদের সব মন্ত্রী বিধায়ককে একসঙ্গে তুলে নিন। তারপর যত খুশি তদন্ত করুন। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু এভাবে একজন একজন মন্ত্রীকে গ্রেফতার করলে আমাদের কাজের অসুবিধা হয়। কারণ আমরা, আপ সরকার রাজনীতি বুঝি না। বুঝি কাজ। কেজরি আরও বলেন, মণীশের কাজের জন্য দিল্লির ১৮ লক্ষ শিশু শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ পাচ্ছে। তাঁর এই উদ্যোগ নিয়ে সর্বত্র চর্চা চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, মণীশ কি দুর্নীতিগ্রস্ত?  এর আগে গত জানুয়ারি মাসে অরবিন্দ আশঙ্কা করেছলেন, তাঁর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করা হবে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে সত্যেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বুধবারই কেজরি মন্তব্য করেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে সত্যেন্দ্র যা কাজ করেছেন, তাতে তাঁকে পদ্মবিভূষণ দেওয়া উচিত। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপের অন্তত ২০ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা ঝুলছে। আমরা যদি এসব নিয়েই ব্যস্ত থাকি, তাহলে সরকারি কাজ করব কখন? আমি নিশ্চিত, সত্যেন্দ্র নির্দোষ প্রমাণিত হবেন। মণীশের বিরুদ্ধেও তদন্তে কিছু পাওয়া যাবে না। আমরা জেলে যেতে ভয় পাই না। আমার বিশ্বাস, দিল্লির মানুষ আপ সরকারের পাশে থাকবে। তাদের বিপুল সমর্থনেই আমরা দ্বিতীয়বার দিল্লির ক্ষমতায় এসেছি।