দেশ

সিআইডি আধিকারিকের তদন্তে বাধা, প্রতিবাদে রাজ্যসভা বয়কট করল তৃণমূল

দিল্লি পুলিশের হাতে রাজ্যের সিআইডি তদন্তকারী দল আটক হওয়া নিয়ে রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে সরব হলেন তৃণমূলের সাংসদ দোলা সেন। আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেও কেন সিআইডি আধিকারিকদের গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানতে চান দোলা। দোলা সেনের সঙ্গে একই সুরে গলা মেলান রাজ্য সভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়। বুধবার সকালে তিন বিধায়কের গ্রেফতারির ঘটনায়  সিআইডির একটি দল দক্ষিণ দিল্লির সিদ্ধার্থ মজুমদারের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যায়। সিআইডি সূত্রে খবর, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে এই তিন কংগ্রেস বিধায়কের যোগসূত্র তৈরির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল সিদ্ধার্থর।তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েই সিআইডির তদন্তকারীরা বাধার মুখে পড়েন বলে অভিযোগ। সিদ্ধার্থ মজুমদার হিমন্ত বিশ্বশর্মার ঘনিষ্ঠ বলেই সিআইডি সূত্রে খবর৷ সিআইডির অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ মতো সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও সিআইডিকে তল্লাশিতে বাধা দেয় দিল্লি পুলিশ৷ সিআইডির চার আধিকারিককে স্থানীয় থানাতেও নিয়ে গিয়ে কার্যত

আটকে রাখা হয়৷ সিআইডি কর্তাদের আশঙ্কা, এই সুযোগে ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত জরুরি নথি লোপাট হয়ে যেতে পারে৷ এই জট কাটাতে রাজ্য পুলিশের তিন উচ্চপদস্থ কর্তা দিল্লি যাচ্ছেন৷ দিল্লি পুলিশের এই ভূমিকার বিরুদ্ধে এবার আইনি পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে চলেছে সিআইডি। ঝাড়খণ্ডের  তিন বিধায়ক গ্রেফতারের পর এবার সিআইডি ব্যবসায়ী মহেন্দ্র আগরওয়ালের বাড়িতে অভিযান চালায়। মহেন্দ্র আগরওয়াল নামে ওই ব্যবসায়ীর থেকেই তিন কংগ্রেস বিধায়ক এক ব্যক্তির মাধ্যমে ৪৮ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ৷ এবার সিআইডি তাঁদের বাড়িতে এসে তল্লাশি চালায় সোমবার। মহেন্দ্র আগরওয়ালের পরিবার সিআইডিকে জানায়, বাড়িতে নেই মহেন্দ্র। শেয়ার ট্রেডিং ব্যবসায়ী এই বিপুল টাকা কোথা থেকে পেলেন, তা জানতে চায় সিআইডি৷ গতকাল ওই ব্যবসায়ীর হেয়ার স্ট্রিটের অফিসে হানা দিয়ে হাওলা স্লিপ, ৩ লাখের বেশি নগদ, ২৫০টি রুপোর কয়েন, ১০টি দলিল, ব্যাঙ্কের পাস বই উদ্ধার করে সিআইডি।