গরু পাচার মামলায় সোমবার আসানসোলের বিশেষ আদালতে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। চার্জশিটে নাম রয়েছে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, বিনয় মিশ্রর ভাই বিকাশ মিশ্র এবং আবদুল লতিফ নামে এক সিন্ডিকেট সদস্যর। এই তিনজন গরু পাচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা সংস্থা। সায়গল ও বিকাশ মিশ্র আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন। গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত সায়গল হোসেনের সোমবার সিবিআই হেফাজতে থাকার ৬০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। আইন অনুযায়ী, যে মামলায় সায়গল গ্রেফতার হয়েছেন, সোমবার বিকেল ৫টার মধ্যে সেই মামলার প্রাথমিক চার্জশিট দিতে হবে সিবিআইকে। সেই মতো এদিন দুপুরে আসানসোলে বিশেষ আদালতে জমা দেয় সিবিআই। দিন কয়েক আগে সায়গলকে আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়। সেদিন সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়েছিল, পাচারকারী ও প্রভাবশালী রাজনীতিকদের মধ্যে সেতুবন্ধন করতেন সায়গল। গরু পাচারের অন্যতম চাঁই এনামুল হকের ডায়েরিতেও সায়গলের নাম মিলেছে। গরু পাচার কাণ্ডের প্রথম চার্জশিটে নাম ছিল বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমারের। ৩২ দিন জেল হেফাজতে থাকার পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। এরপর দ্বিতীয় চার্জশিটে নাম ছিল গরু পাচারকারীর কিংপিন এনামুল হকের। ১৩ মাস জেল হেফাজতের পর তিনি এখন জামিনে মুক্ত। এবার বিকাশ, লতিফ, অনুব্রত’র দেহরক্ষী সায়গলের নামে চার্জশিট দেওয়া হল। অন্যদিকে, এদিন চন্দ্রকোনা রোডে কবিগুরুর প্রয়াণ দিবস পালন করা হয় ৷ সেই অনুষ্ঠানেই যোগ দিতে পৌঁছন শুভেন্দু ৷ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি পালনের মাঝেই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু ৷ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বর্তমান তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্য়ের নানা অংশে পাচারচক্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ৷ কয়লা, বালি, পাথর থেকে শুরু করে গরু, সবকিছুই পাচার করে দেওয়া হচ্ছে ৷ বীরভূম, মুর্শিদাবাদের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী থানাগুলির বহু কর্মী ও আধিকারিক গরুপাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ও তাঁর মন্ত্রকের তৎপরতায় পাচারে রাশ টানা সম্ভব হয়েছে ৷ একের পর এক তদন্তে উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য ৷