জেলা

নিম্নচাপ-পূর্ণিমার ভরা কোটাল, দুর্যোগ মোকাবিলায় তৈরি জেলা প্রশাসন

একটানা বৃষ্টি ও বাতাসের গতিবেগে আতঙ্কে সুন্দরবনবাসী। বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, সাগর-সমেত উপকূলের পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে বাড়তি নজরদারির বন্দোবস্ত করেছে প্রশাসন । সঙ্গে দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবা, কুলতলি-সহ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় । নিম্নচাপ ও ভরা কোটালের জোড়া ফলার মোকাবিলায় সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে তৈরি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। একশোটি ফ্লাড সেন্টার ও স্কুল তৈরি রাখা হয়েছে। উপকূলে বিপদের সম্ভাবনা বাড়লেই নিরাপদ স্থানে তুলে আনা হবে বাসিন্দাদের। জেলার ৬টি বিশেষ সিভিল ডিফেন্সের দলও তৈরি রাখা হয়েছে। এই দলগুলি বিপর্যয় মোকাবিলায় বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত। একটি মহিলাদেরও দল আছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সুন্দরবনের ব্লকে পাঠানো হবে দলগুলিকে। জেলা সদর আলিপুরে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা কন্ট্রোল রুমের ওপর নজর রাখছেন। জেলার পাশাপাশি কাকদ্বীপ, ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবার মহকুমা শাসকের অফিসে ও সুন্দরবনের ১৩টি ব্লকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। পঞ্চায়েতগুলিকেও সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে শুকনো খাবার, পানীয় জল, ত্রিপল মজুত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে জেলাতে। মাঝে মাঝে ভারী বৃষ্টি চলছে। জেলার সুন্দরবন উপকূলে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি। শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে ঘনীভূত পরিণত হতে চলেছে ৷ এর ফলে মঙ্গলবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে । বুধবার সকাল থেকে বাংলার আকাশ কালো মেঘে ঢেকে গিয়েছে । উপকূলীয় এলাকার শুরু হয়েছে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট । নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র । এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে । সতর্কতা জারি করা হয়েছে দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, বকখালি ও সাগরদ্বীপে সমুদ্র সংলগ্ন এলাকায় । পর্যটকদেরও সমুদ্রে নামতে বারণ করা হয়েছে । সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।