আগামী ১ নভেম্বর থেকে রাজ্যের জেলায় জেলায় চালু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচী। সেখানেই করা যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদন। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই আবেদন করা যাবে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি যারা এর আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করেও তা পাননি তাঁরাও নতুন করে আবেদন করতে পারবেন। যাদের অ্যাকাউন্টজনিত সমস্যার জন্য প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত হয়নি তাঁরাও এবার নতুন করে আবেদন করতে পারবেন।আগামী ১ নভেম্বর মাস থেকে ‘দুয়ারে সরকার’ চালু হচ্ছে। সেই কর্মসূচি যাতে নির্বিঘ্নে পালিত হয় তার জন্য ইতিমধ্যেই নবান্নে একটি উচ্চপ্ররযায়ের বৈঠক হয়ে গিয়েছে। সেখানেই নতুন করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই বৈঠলে রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকরা ভার্চুয়ালি অংশ নিয়েছিলেন। দুয়ারে সরকার কর্মসূচিরর সঙ্গে যুক্ত সমস্ত প্রশাসনিক আধিকারিকরাও ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে যোগ দেন। এছাড়াও ছিলেন পুর কমিশনারা। দুয়ারে সরকারের আগাম কর্মসূচি সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট তাঁদের থেকে চেয়ে নেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প থেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদন গ্রহণ করা হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। ফলে ফের একবার মমতা সরকারের এই মাসিক হাতখরচের প্রকল্পের জন্য আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন ‘ঘরের লক্ষ্মীরা’। সূত্রে আগেই জান গিয়েছিল যে আগামী বছর থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকার পরিমাণ বাড়তে চলেছে। ৫০০ থেকে বেড়ে ৭৫০ টাকা এবং ১০০০ থেকে বেড়ে ১৫০০ টাকা হতে পারে। যদিও এই মর্মে সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। ফলে আগামী পর্বের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেও আপাতত ৫০০ টাকা করেই পাবেন মহিলারা। এবারের দুয়ারে সরকার শিবির থেকে মোট ২৫টি সরকারি প্রকল্পের দরখাস্ত নেওয়া হবে। সেই তালিকায় রয়েছে, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতি শংসাপত্র, শিক্ষাশ্রী, তফসিলি বন্ধু, জয় জহর, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, কৃষকবন্ধু, ঐক্যশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, ব্যাঙ্কে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা, আধার সংক্রান্ত সমস্যা, কৃষি জমি মিউটেশন, বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা, প্রতিবন্ধী শংসাপত্র, মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড, সব ধরনের ক্রেডিট কার্ড, মৎস্যজীবীদের নথিভুক্তীকরণের বিষয়গুলি।