মোরবি পুরসভার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার এসভি জালা জানিয়েছেন, ফিটনেস সার্টিফিকেট ছা়ড়াই সেতু খুলে দেওয়া হয়েছিল। এবং এটা কাউকে গোপনে বলেননি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের তিনি নিজেই এই বিস্ফোরক বয়ান দিয়েছেন। এসভি জালা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই সেতু মেরামতির জন্য় বন্ধ রাখা হয়েছিল। সাত মাস আগে একটি বেসরকারি সংস্থাকে মেরামতির কাজ বরাদ্দ করা হয়। বরাদ্দের জন্য ডাকা হয়েছিল টেন্ডার। তারা মেরামতি করে পুরসভার অনুমতি ছাড়া, সার্টিফিকেট ছাডা়ই সেতু খুলে দেয়। পুরসভা রীতিমতো অন্ধকারে ছিল। যদিও তার এই বয়ানে চিঁড়ে যে ভিজবে না, তা বলাই বাহুল্য। প্রশ্ন উঠছে, ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়া সেতু খুলে দেওয়া হয়েছে, সেটা জানার পরেও কেন পুরসভা নিজের উদ্যোগে এই সেতু ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল না। যে কথা আজ পুরসভার তরফ থেকে বলা হচ্ছে, সেটা বলার কোনও মানে হয় না। পুরসভা সব জেনে-বুঝেও চুপ করে ছিল। তারা পদক্ষেপ করলে একসঙ্গে এত মানুষের মৃত্যু হত না। উল্লেখ করা যেতে পারে, রবিবার আচমকাই সেতু তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে। ঘটনার সময় সেতুতে ছিলেন কমপক্ষে চারশোজন। এখনও পর্যন্ত ৩৫জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। আহত কম করেও শতাধিক। তাদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। জানা গেছে, ব্রিজ রক্ষণাবেক্ষণ দায়িত্ব ছিল ‘ওভেরা’ সংস্থার উপর। এই ওভেরা সংস্থাটি সিএফএল বাল্ব তৈরির জন্যই সারা দেশে বিখ্যাত। বাল্ব ছাড়াও সংস্থাটি তৈরি করে ঘড়ি। ‘অজন্তা’ এবং ‘অরপ্যাটে’র ঘড়ি এই দেশে জনপ্রিয়তা লাভ করে ওভেরা সংস্থার হাত ধরেই। সেতু সংস্কারের সঙ্গে তারা যুক্ত, এমন কোনও কথার উল্লেখ নেই সংস্থার ওয়েবসাইটেও।