বিশ্বকাপে আজকের আগে পর্যন্ত সুইজারল্যান্ডকে হারাতে পারেনি ব্রাজিল। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে কিছুটা স্বস্তিতে ছিল ব্রাজিল। তবে নেইমার ও দানিলোর ইনজুরিতে চিন্তার ভাঁজ কোচ তিতের কপালে। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে তাই অনুমিত ভাবেই দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছিল ব্রাজিল। ব্রাজিল সার্বিয়ার বিপক্ষে যেমন প্রথম ম্যাচে জিতেছে, সুইজারল্যান্ডও জিতেছে ক্যামেরুনের বিপক্ষে (১-০)। দুই দলের সামনেই তাই নকআউটে এক পা রাখার হাতছানি ছিল আজ। ব্রাজিল তাদের একাদশে এনেছে দুটি পরিবর্তন। নেইমার ও দানিলোর পরিবর্তে সুযোগ পেয়েছেন মিলিতাও ও ফ্রেড। প্রথম ম্যাচে যে ফুটবল উপহার দিয়েছিল সাম্বা ব্রিগেড, আজ সুইসদের বিপক্ষেও সেই খেলা উপহার দেবে ব্রাজিল এমনটাই ভাবা গিয়েছিল। ২৬ মিনিটের মাথায় রফিনহার ক্রস থেকে গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন ভিনিসিয়াস। তার হেড বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক সোমের। ব্রাজিলের খেলায় অন্তত প্রথমার্ধে আগের দিনের মতো ধার ছিল না। তবে নেইমার না থাকায় ব্রাজিলের রোমিং ফুটবলারের ভূমিকাটা পালন করতে পারছিলেন না ফ্রেড। তার মধ্যেও যেটুকু চেষ্টা করছিলেন ভিনি এবং রাফিনহা। সুইজারল্যান্ড মাঝখানে লোক বাড়িয়ে ব্রাজিলকে স্বাভাবিক পাসিং ফুটবল খেলতে দিচ্ছিল না। নিজেরা ডিফেন্স শক্ত রেখে কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর সিস্টেমে ভরসা রেখেছিল। জাকার নেতৃত্বে ফ্রলার, রিয়েদার পাল্লা দিচ্ছিলেনক্যাসেমিরো, লুকাসদের সঙ্গে।দ্বিতীয় অধ্যায়ের শুরুতেই লুকাসকে তুলে নিয়ে রদ্রিগোকে নিয়ে এলেন তিতে। ৬৫ মিনিটে গোল করেছিলেন ভিনিসিয়াস। কিন্তু ভিডিও রেফারেল দেখে বাতিল করে দেওয়া হল অফসাইডের কারণে। আগের দিন জোড়া গোলের নায়ক রিচারলিসন একটি হাফ চান্স পেয়েছিলেন। কিন্তু সঠিক সময়ে পা বাড়াতে না পারার কারণে গোল হয়নি। রিচারলিসনকে তুলে নিয়ে গ্যাবরিয়েল জেসুস এবং এন্টনিকে নামানো হয়। সুইস ডিফেন্সকে প্রান্তিক আক্রমণ দিয়ে স্ট্রেচ করার চেষ্টা করল ব্রাজিল। ৮৩ মিনিটে কাঙ্খিত গোল পেয়ে গেল ব্রাজিল। ভিনির পা হয়ে অ্যান্টনির একটি ফ্লিক রিসিভ না করেই দুর্দান্ত শটে জালে পাঠালেন ক্যাসেমিরো। গোলরক্ষক শুধু দেখলেন। বিশ্বকাপে শেষ ষোল নিশ্চিত করে ফেলল সাম্বার ব্রিগেড। একনজরে দেখে নিন Highlights –