বৃহস্পতিবার রাতে মহারাষ্ট্রের কিরাডপুরায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ৷ সেই ঘটনায় ৪০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ ৷ চলছে ধরপাকড় ৷ এই মামলায় এখনও পর্যন্ত সাতজনকে আটক করা হয়েছে ৷ প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে পাকড়াও করতে পুলিশের তরফে মোট আটটি দলও তৈরি করা হয়েছে ৷ সেই দলের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খানাতল্লাশি শুরু করেছেন ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজিনগর এলাকার কিরাডপুরে ৷ ঘটনার সূত্রপাত হয় বৃহস্পতিবার ৷ রামনবমী উপলক্ষে ছত্রপতি সম্ভাজিনগরের কিরাডপুরায় পুজো ও উৎসবের আয়োজন চলছিল ৷ সেই সময়েই স্থানীয় দু টি গোষ্ঠী পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ৷ আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলি ভাঙচুর করে তারা ৷ বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ৷ তার মধ্যে একাধিক পুলিশের গাড়িও ছিল ৷ সংঘর্ষে যুক্ত দুই গোষ্ঠী পরস্পরকে লক্ষ করে পাথর ছুড়তে শুরু করে ৷ ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশকর্মীদের দিকেও পাথর ছোড়া হয় ৷ তাতে মোট ১৭ জন পুলিশকর্মী আহত হন ৷ পালটা উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ ৷ এতে এক ব্যক্তি গুরুতর জখম হন ৷ এছাড়াও আরও কয়েকজন কমবেশি আহত হয়েছেন ৷ সব মিলিয়ে এই ঘটনায় প্রায় ৩ কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে বলে দাবি সূত্রের ৷ এই ঘটনার পর স্থানীয় থানায় মোট ৪০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয় ৷ হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে এই এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশের বাহিনী ৷ তারা লাগাতার রাস্তায় টহল দিচ্ছে ৷ নতুন করে যাতে কোনও অশান্তি না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতে কড়া পাহারার বন্দোবস্ত করা হয়েছে ৷ অন্যদিকে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন এআইএমএম নেতা তথা সাংসদ ইমতিয়াজ জলিল ৷ তাঁর অভিযোগ গন্ডগোল শুরু হওয়ার অনেক পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷ তারা যদি দ্রুত পদক্ষেপ করত তাহলে পরিস্থিতি এতটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠার আগেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হত ৷