মঙ্গলবার রাজ্যসভার অধিবেশনের প্রথমেই মণিপুর ইস্যুতে তুমুল হইহট্টগোল বাধে রাজ্যসভায় ৷ আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংয়ের পরে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে সাসপেন্ডের কথা ঘোষণা করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকর। অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। একের পর এক ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সাংসদদের সাসপেন্ড করায় ধনকড়কে বয়কটের মতো বেনজির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে হাঁটার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। সংসদের চলতি অধিবেশনের শুরু থেকেই মণিপুরে জাতি হিংসা নিয়ে রাজ্যসভায় সরব হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। বেশ কয়েকবার তাঁর সঙ্গে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়। গতকাল সোমবার দিল্লির আমলাদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ‘বিতর্কিত’ বিলের উপরে আলোচনায় বিরোধী শিবিরের পক্ষ থেকে বক্তব্য পেশ করছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও বক্তব্য রেখে চলেছিলেন তিনি। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হন সভা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ধনকড়। ডেরেককে ধমক দেওয়ার পাশাপাশি বসার জন্য হুঁশিয়ারিও দেন। এদিন সকালে রাজ্যসভার অধিবেশন শুরুর খানিক বাদেই তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতাকে বাকি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ডের কথা ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান ধনকড়। আর ওই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই বিরোধী সাংসদরা প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। সূত্রের খবর, ‘নিরপেক্ষভাবে’ সভা পরিচালনা না করার জন্য রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে বয়কটের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সাংসদরা।