মহিলারা সংসদে বা বিধানসভায় ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ পাবেন তা নিয়ে বিতর্ক জিইয়ে রেখেই লোকসভায় পাস হয়ে গেল মহিলা সংরক্ষণ বিল বা নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম। বিপক্ষে পড়ল মাত্র দুটি ভোট। বিলের পক্ষে ভোট দিলেন ৪৫৪ সাংসদ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এনিয়ে আগেই বলেন, বিরোধীদের জন্য মহিলা সংরক্ষণ বিল রাজনৈতিক ইস্যু হতে পারে কিন্তু বিজেপির জন্য তা একেবারেই নয়। এটা হল দেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দেওয়া। অমিত শাহ এদিন বলেন, লোকসভা ভোটের পর ডিলিমিটেশন ও জনগণনা হওয়ার পরই মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ কার্যকর হবে। সংসদের মহিলারা তাদের স্বর আরও জোরাল করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, তাঁকে ওই কাজ করার জন্য বেছে নিয়েছেন খোদ ঈশ্বর। তবে আজ রাহুল গান্ধী সংসদে কাঁর বক্তৃতায় বলেন, মহিলাদের জন্য যদি ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ দিতেই হয় তাহলে তা আজই নয় কেন? কিন্তু সরকারের বক্তব্য, ডিলিমিটেশন ও সেনসাস হওয়ার পরই সংরক্ষণ কার্যকর হবে।মহিলা সংরক্ষণ বিলের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে দেশের মহিলাদের জন্য সরকারের একের পর এক পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন অমিত শাহ। সাংসদদের তিনি মনে করিয়ে দেন দেশের ১০ কোটি বাড়িতে এলপিজি কানেকশন দেওয়া হয়েছে, ৪ কোটি বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। বেটি বাঁচাও বেটি পড়াওয়ের মতো কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর ফলে দেশে সেক্স রেশিও বেড়েছে। জনধন যোজনার ৭০ শতাংশ আ্যাকাউন্ট মহিলাদের। মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়ে নরেন্দ্র মোদী যখন প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন তখন তিনি তাঁর আয়ের সবটুকু রাজ্যের ক্লাস থ্রি ও ক্লাস ফোর কর্মীদের মেয়েদের শিক্ষার জন্য দিয়ে দেন। বিলটি ইউপিএ আমলে ২০০৮ সালে ড্রাফট করা হয়। বিলটি তারা একমাত্র রাজ্যসভায় পাস করাতে সমর্থ হয়। অমিত শাহ আজ বলেন, এইচ ডি দেবগৌড়া থেকে মনমোহন সিংয়ের আমল পর্যন্ত মোট ৫ বার এই বিল আনা হয়। কিন্তু তা পা করানো যায়নি? কংগ্রেসের তরফে বিলটি দ্রুত কার্যকর করার দাবি করা হয়। সোনিয়া গান্ধী বলেন, মহিলাদের আর কত দিন এই বিল পাসের জন্য অপেক্ষা করতে হবে…২..৪…৮ বছর? কংগ্রেস চায় বিলটি এখনই কার্যকর করা হোক। রাহুল গান্ধী বলেন, বিলটি এখনই কার্যকর করা হোক। এর জন্য জনগণনা কিংবা ডিলিমিটেশনের জন্য অপেক্ষা কেন? পাল্টা অমিত শাহ বলেন, আপনারা এই বিল সমর্থন করেন বা না করেন ২০২৯ সালেই এই বিল কার্যকর হবে। ভোটের পরপরই ডিলিমিটেশন ও সেনসাস হয়ে যাবে। তার পরেই বিলটি কার্যকর হবে।