মহমেডান – ২ (ডেভিড -২)
ইস্টবেঙ্গল – ১ (নন্দ কুমার)
খেতাব দৌড়ে আরও একধাপ এগিয়ে দিলেন মহমেডান স্পোর্টিংকে। বুধবার বৃষ্টিভেজা কিশোর ভারতীতে ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ গোলে হারাল সাদা কালো ব্রিগেড। জোড়া গোল ডেভিডের। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে একমাত্র গোল করেন নন্দকুমার। ১৪ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে সুপার সিক্সে শীর্ষস্থানে মহমেডান। এক ম্যাচ কম খেলে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট ৩০। অর্থাৎ এদিন হারের ফলে দুই দলের পয়েন্টের পার্থক্য বেড়ে দাঁড়াল ২। মিনি ডার্বির ওপর অনেকটাই নির্ভর করছিল লিগের ভাগ্য। তাই তেতে ছিল সমর্থকরা। ম্যাচ চলাকালীন বেশ কয়েকবার উত্তপ্ত হয় গ্যালারি। দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে ইঁট ছোড়াছুড়িও হয়। মাঠে দুই একটা বোতলও পড়ে। শেষ বাঁশি বাজার পর মাঠেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই দলের ফুটবলাররা। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে যায় মহমেডানের জয়। খেলা শেষে গ্যালারির সামনে গিয়ে অভিবাদন গ্রহণ করতে দেখা যায় ডেভিড, রেমসাঙ্গাদের। এদিন মিনি ডার্বির দুই অর্ধ দু’রকম। প্রথমার্ধে দুরন্ত গতিশীল পাসিং ফুটবল মহমেডানের। দুই উইং দিয়ে রেমসাঙ্গা, বিকাশ লাল হলুদ রক্ষণে ত্রাস সৃষ্টি করে। বক্সের আশেপাশে বিপজ্জনক দেখায় ডেভিডকে। ফলস্বরূপ প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় মহমেডান।দ্বিতীয়ার্ধে পারফরম্যান্স গ্রাফ পড়ে যায় আন্দ্রে চের্নিশভের দলে। জোড়া গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর আচমকা গুটিয়ে যায় সাদা কালো ব্রিগেড। গোল সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা না করে রক্ষণের মোড়কে ঢুকে যায়। যার ফলে দ্বিতীয়ার্ধে বিপদ সৃষ্টি হলেও হতে পারত। অবশ্য এদিন নিজের চালেই চেকমেট হলেন বিনো জর্জ। প্রথম একাদশে আইএসএলের ছ’জন ফুটবলারকে রাখেন। খেলান নন্দকুমার, মহম্মদ রাকিপ, এডউইন ভানসপল, ভিপি সুহের, মোবাশির এবং কমলজিৎ সিংকে। এটাই যেন বুমেরাং হয়ে ফিরে এল। জুনিয়র দলের সঙ্গে খেলা তো দূরঅস্ত, একসঙ্গে প্র্যাকটিসও করেনি সিনিয়র দলের ফুটবলাররা। তাই বোঝাপড়া, সংগঠনের অভাব প্রকট। পরে আইএসএলের দলের আরও দু’জনকে নামান বিনো। এটা না করে সেট মহমেডানের বিরুদ্ধে জুনিয়র দলকে রাখলেই বোধহয় ভাল করতেন। কারণ একসঙ্গে প্রাথমিক পর্বের ১২টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে ওরা। বোঝাপড়া, লড়াকু স্পিরিট তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সেখানে দলে একাধিক পরিবর্তন করে বিপদ ডেকে আনেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। ম্যাচের ৫ মিনিটে এগিয়ে যায় মহমেডান। ডানদিক থেকে রেমসাঙ্গার সেন্টারে ডান পায়ের শটে গোল ডেভিডের। শুরুতেই গোল হজম করায় ছন্দপতন ঘটে ইস্টবেঙ্গলের। তাও ১৫ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল। কিন্তু অতুলের শট বাঁচান মহমেডান গোলকিপার পদম ছেত্রী। প্রথমার্ধে সাদা কালোর গতির কাছে মার খায় ইস্টবেঙ্গল।