দশমীতে পুরস্কার ঘোষণা। একাদশীতেই পর পর প্রত্যাখ্যান। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ‘দুর্গারত্ন’ পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের তালিকায় এবার যুক্ত হল টালা প্রত্যয়। নদিয়ার কল্যাণীর আইটিআই মোড়ের (লুমিনাস ক্লাব) পুজো উদ্যোক্তারা এদিনই জানিয়েছেন, রাজভবনের পুরস্কার তাঁরা সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করছেন। এরপরই জানা গেল, দুর্গারত্ন নেবে না টালা প্রত্যয়ও। এ প্রসঙ্গে টালা প্রত্যয় জানায়, ‘কলকাতায় যারা দুর্গাপুজো করে তাদের যত প্রতিযোগিতা হয়, তাতে আবেদন পদ্ধতি থাকে, জাজেস প্যানেল আসা, দেখানো সবটা থাকে। তারপর তো হার জিৎ। এই লড়াইয়ে কিন্তু একটা ভ্রাতৃত্ববোধও কাজ করে। একটা বন্ডিংও কাজ করে কলকাতার সমস্ত দুর্গাপুজোর। সেখানে আমরা তো এটায় কোনওভাবেই অ্যাপ্লাই করিনি। তারা কীভাবে এটার বিচার করলেন জানি না। শুনলাম কলকাতায় একমাত্র আমরাই পেয়েছি। সেটা আমার মনে হচ্ছে কলকাতার সমস্ত দুর্গাপুজোর যে বন্ডিং সেটা বোধ হয় কোনও একটা জায়গায় ধাক্কা খাচ্ছে। কোনও বিচারক, প্রসেস ছাড়া এটা চলছে। আমরা তাই বিরত থাকছি। তবে পরের বছর যদি ওনারা সুন্দর নিয়ম অনুযায়ী সবটা করেন, বিচারক আসেন সবটা দেখেন, তারপর দেখা যাবে।’ উল্লেখ্য, এবার প্রথম ‘দুর্গারত্ন’ পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার রাতে সেই পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হল রাজভবনের পক্ষ থেকে। রাজভবনের তরফে পুরস্কৃত করা হবে চারটি পুজোকে। রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আলো ও ছায়ার সৃজনমূলক ব্যবহারের কারণে পুরস্কার পাচ্ছে কলকাতার টালা প্রত্যয়ের মণ্ডপ। জাঁকজমক ও বিশালত্বের নিরিখে পুরস্কৃত করা হচ্ছে কল্যাণী আইটিআই পুজো মণ্ডপকে। পরিবেশ সচেতনতার জন্য পুরস্কৃত করা হচ্ছে বরানগরের বন্ধুদল স্পোর্টিং ক্লাবের মণ্ডপ। থিমের নতুনত্বে পুরস্কার জিতে নিয়েছে নেতাজি নগর (লো ল্যান্ড)-এর পুজো মণ্ডপ। চারটি পুজোকে সাধারণ মানুষের ভোটের ভিত্তিতে বেছে নেওয়া হল বলে জানিয়েছে রাজভবন। বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার মূল্যের পাঁচ লক্ষ টাকা ভাগ করে দেওয়া হবে।