বজরং পুনিয়া, বীরেন্দর সিং ফিরিয়েছেন পদ্মশ্রী পুরস্কার। এবার সেই পথেই ভিনেশ ফোগাট । তিনি নিজের খেলরত্ন পুরস্কার এবং অর্জুন পুরস্কার ফিরিয়ে দিলেন। ভিনেশ তিন দিন আগে ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি তার পুরষ্কার ফিরিয়ে দেবেন৷ ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিজনেস পার্টনার সঞ্জয় সিং সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান হতেই প্রতিবাদের আগুন আবার জ্বলে ওঠে। সঞ্জয় সিং সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান হওয়ার পর বড় সড় ঘোষণা করেছিলেন বজরং পুনিয়া। জানিয়েছিলেন, পদ্মশ্রী পুরস্কার তিনি ফিরিয়ে দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে। শনিবার এশিয়ান গেমস এবং কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী ভিনেশ ফোগাট, ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের (ডব্লিউএফআই) বিতর্কের মধ্যেই, শনিবার, ভিনেশ পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন৷ কিন্তু নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাকে সেখানে পৌঁছাতে বাধা দেন। অবশেষে তিনি তাঁর ধ্যানচাঁদ খেল রত্ন এবং অর্জুন পুরস্কারগুলিকে PMO অফিসের কাছে ফুটপাতে রাখেন৷ ভোটের ফলাফল বলছে যে সঞ্জয় দাঁড়াতে দেনন প্রতিদ্বন্দ্বীকে। ৪৭ ভোটের মধ্য়ে ৪০ ভোটই তিনি পেয়েছেন। সঞ্জয় হারিয়েছেন কমনওয়েলথে সোনা জয়ী কুস্তিগীর অনিতা শেওরানকে। আর এই সঞ্জয় কিন্তু ব্রিজভূষণের অত্যন্ত ঘনিষ্ট। এটাই মেনে নিতে পারছেন না সাক্ষী, ভিনেশ ফোগাট ও বজরং পুনিয়ারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খোলা চিঠি লিখেছিলেন ভিনেশ। সেই চিঠিতে ডাব্লিউএফআই-এর নতুন সভাপতি সঞ্জয় সিং-এর নির্বাচন নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি, যিনি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের ঘনিষ্ঠ, যাঁর বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগীরদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। তাঁকে পদ থেকে সরানো না হলে, দেশের তারকা কুস্তিগীররা খেলা ছেড়ে দেবেন বলেই প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন। নেমেছিলেন রাস্তায়, সহ্য় করেছিলেন ‘পুলিসের অত্য়াচার’। কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে তৈরি হয়েছিল কমিটি। তারপর আইন-আদালত। দীর্ঘ প্রক্রিয়া। কারণও সেই ব্রিজভূষণ!