কলকাতা

অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ডাকার ক্ষেত্রে কঠোর হচ্ছে যাদবপুর

কলকাতাঃ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে রাজনৈতিক দলের আনাগোনা এবং কর্মসূচি ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে এবার থেকে কড়া হওয়ার ভাবনা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, গোটা বিষয়টি এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে সামনেই পুজোর ছুটি। তাই তার আগে এধরনের কোনও গুরুতর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।নানা সময়ে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। সেসব ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতি নেওয়া থাকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও এমন বহু অনুষ্ঠান হয়েছে। কখনও সেই অনুষ্ঠান ঘিরে বা কখনও সামান্য ছবি দেখানো নিয়ে অশান্তির নজিরও আছে দেশের এই নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে। তবে গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে যে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল, তারপর নড়েচড়ে বসেছে যাদবপুর কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক দলের কোনও অনু্ষ্ঠান নিয়ে কড়া হওয়ার ভাবনাচিন্তা চলছে।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্টার্ড ছাত্র সংগঠনের সংখ্যা মাত্র তিন। কলাবিভাগের আফসু, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ফেটসু আর বিজ্ঞান বিভাগের এসএসসিইউ। এই তিনটি সংগঠনের কোনও কর্মসূচি বা অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ অনেক নরম মনোভাব নিয়ে আবেদন খতিয়ে দেখবে। কিন্তু এর বাইরে যারা, অর্থাৎ অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠন যেমন বিজেপি, এবিভিপি বা তৃণমূল যদি ক্যাম্পাসে কোনও কর্মসূচি করতে চায়,তাহলে সেই আবেদন এবার কড়াভাবে খতিয়ে দেখা হবে। কোনওরকম অশান্তির আঁচ পেলে বাতিল হয়ে যেতে পারে আবেদন। বাবুল সুপ্রিয়কে নিগ্রহের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এমনই ভাবনাচিন্তা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।আপাতত যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস অসুস্থ হওয়ায় বিশ্রামে আছেন। ক্যাম্পাসে আসতে পারছেন না। তিনি যোগদান করলে এনিয়ে এগনো হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আইন মেনে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক ছাড়া এখানে কোনওরকম সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয় না। তাই ইসি বৈঠকে মতৈক্যের ভিত্তিতে এনিয়ে যাবতীয় নিয়মকানুন স্থির হবে। এদিকে, সোমবারই বাবুল সুপ্রিয় নিগ্রহের ঘটনায় রাজ্যপালকে প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠিয়েছেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।