দেশ

রামজন্মভূমি আন্দোলনের মুখ, অথচ অযোধ্যায় গরহাজির আডবাণীকে ভারতরত্ন দিচ্ছে মোদি সরকার

অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল। পরে আমন্ত্রণপত্র গেলেও, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি লালকৃষ্ণ আডবাণীকে । ‘রাম জন্মভূমি আন্দোলনের’ অন্যতম মুখ আডবাণীকে মন্দির উদ্বোধনে ব্রাত্য রাখা নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছিলেন বিরোধীরাও। তার পর দু’সপ্তাহও কাটল না, ৯৬ বছর বয়সি আডবাণীকে ‘ভারতরত্ন’ সম্মান প্রদানের ঘোষণা করল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। রামমন্দিরের উদ্বোধন এবং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে ধরলে আডবাণীকে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানপ্রদানের নেপথ্যে বিজেপি-র রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করার জন্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। ভারতরত্নকে তাঁর আদর্শ ও মূল্যবোধের প্রতি ‘সম্মান’ বলে জানিয়ে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা বলেন, “সমস্ত রকম কৃতজ্ঞতা সহযোগে আমি আমাকে দেওয়া এই ভারতরত্ন সম্মান গ্রহণ করছি। এটা আমার জন্য শুধু একজন ব্যক্তি হিসেবে পাওয়া কোনও সম্মান নয়। এটা আমার সারা জীবন ধরে যে আদর্শ ও মূল্যবোধকে অনুসরণ করেছে, এটা তার প্রতি সম্মান। যে আদর্শ ও মূল্যবোধকে আমি আমার সর্বোচ্চ ক্ষমতা অনুযায়ী সারাজীবন ধরে লালন করেছি। পালন করেছি।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি আমার পরিবারের সমস্ত সদস্যদের, বিশেষ করে আমার প্রয়াত প্রিয়তম স্ত্রী কমলার সঙ্গে এই সম্মান পাওয়ার আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছি। তাঁরা-ই আমার শক্তির উৎস।” আডবাণীকে ‘ভারতরত্ন’ সম্মানে ভূষিত করা হবে বলে শনিবার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। নিজে ফোন করে আডবাণীকে তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন বলেও জানান। মোদির এই ঘোষণাই এই মুহূর্তে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। কারণ মোদি এবং আডবাণীর সম্পর্কের জটিলতার কথা কারও অজানা নয়। রাষ্ট্রীয় স্বয়ম সেবক সঙ্ঘ থেকে তরুণ মোদিকে BJP-তে আডবাণীই জায়গা করে দেন।