দেশ

আমি তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে দেশ দুনিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম আর্থিক শক্তি হবে: প্রধামমন্ত্রী

লোকসভায় তাঁর জবাবি ভাষণে কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর বাচনভঙ্গী ও আক্রমণের তীব্রতায় সংসদে উঠল মোদি মোদি স্লোগান। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী গ্যারান্টি দিলেন, এনডিএর তৃতীয় টার্মে ভারত দুনিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। কংগ্রেসকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদের কথা শুনে একটা জিনিস স্পষ্ট। সেটা হল, ওঁরা লম্বা সময় বিরোধী আসনে থাকার সংকল্প করে ফেলেছেন। জনতা তো ঈশ্বরের দ্রুত। লক্ষ্য করছি এখন বিরোধীরা ভোটে লড়ার উত্সাহও হারিয়েছে। অনেক সিট বদলের চেষ্টা করছে। অনেকে আবার রাজ্যসভায় যেতে চাইছে। রাষ্ট্রপতির ভাষণ তথ্যের উপরে দাঁড়িয়ে তৈরি করা। ওই তথ্য দেখলে বুঝতে পারবেন কী গতিতে দেশ এগিয়ে চলেছে। চারটি মজবুত স্তম্ভের দিকে উনি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। ওইসব স্তম্ভ শক্ত হলে আমাদের দেশ উন্নত হবে।  সরকার সবার জন্য ভাবে। কতদিন আপনারা সমাজকে ভাঙতে থাকবেন? বিরোধীদের বিঁধে মোদি বলেন, নেতা তো বদলে গিয়েছে, কিন্তু সেই টেপ রেকর্ডার একইভাবে চলছে। সামনে নির্বাচন। পরিশ্রম করে নতুন কিছু বের করে আনুন! মানুষকে নতুন কিছু দিতে পারতেন, তাতেও আপনারা ফেল? যাক এটাও আমার কাছে শিখে নিন। আজ বিপক্ষের যে অবস্থায় তার জন্য সবচেয়ে দায়ি কংগ্রেস। দশ বছর কম সময় নয়। কংগ্রেসের হাতে এক শক্তিশালী বিরোধী হওয়ার সুযোগ ছিল। সভায় অনেক তরুণ নেতা ছিলেন। কিন্তু তারা বললে তাদের ইমেজে বেড়ে যাবে এটা ভেবে সংসদ চলতেই দেওয়া হয় না। গোটা দেশ পরিবারতন্ত্রের জন্য যে মূল্য চুকিয়েছে তা বিরাট। সরকার যা-ই করে তা কংগ্রেস বাতিল করে দেয়। আমি বলি আত্মনির্ভর ভারত, কংগ্রেস বলে বাতিল! আমি বলি ভোকাল ফল লোকাল, কংগ্রেস বলে বাতিল! আমি বলি বন্দ ভারত ট্রেন, কংগ্রেস বলে বাতিল! এটা মোদীর অভিজ্ঞতা নয়, গোটা দেশের অভিজ্ঞতা। এতটা বিদ্বেষ! কতদিন ধরে রাখবেন? দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের মজবুত অর্থনীতির প্রশংসা গোটা দেশ করছে। জি ২০ সামিটে গোটা দেশ দেখেছে গোটা বিশ্ব ভারত সম্পর্কে কী ভাবে। গত ১০ সালের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি যে গতিতে ভারতে এগিয়ে চলেছে তাতে আমাদের তৃতীয় টার্মে ভারত দুনিয়ার তৃতীয় বড় আর্থিক শক্তি হিসেবে উঠে আসবে। ইয়ে মোদী কি গ্যারান্টি হ্যায়। আমি যখন বলছি আমাদের দেশ দুনিয়ার তৃতীয় বড় আর্থিক শক্তি হিসেবে উঠে আসবে তখন বিরোধীরা কুতর্ক করে।