জেলা

মহিলাদের উপর অত্যাচার আর গরিবদের লুঠ করাই তৃণমূলের একমাত্র কাজ, লোকসভা ভোট থেকেই ওদের তাড়ানোর দরজা খুলবে: মোদি

মার্চ মাসের প্রথম ৯ দিনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে চারটি জনসভা করে ফেললেন৷ কিন্তু আরামবাগ, কৃষ্ণনগর বা বারাসতের শেষ তিনটি সভায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায় তৃণমূল নিয়ে আক্রমণের ঝাঁঝ যে অনেকটাই কম ছিল, তা রাজ্য বিজেপি নেতাদেরও নজর এড়ায়নি৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য এ দিন শিলিগুড়ির কাওয়াখালির সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী৷ এমন কি, বহুদিন বাদে একবার হলেও ভাইপো নিয়ে কটাক্ষ শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়৷ দাবি করেছেন, লোকসভা ভোট থেকেই তৃণমূলকে তাড়ানোর দরজা খুলবে! এ দিনও প্রথম সরকারি অনুষ্ঠান থেকে উত্তরবঙ্গ এবং অসমের জন্য কয়েক হাজার কোটির সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলন্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সেই সভা শেষ করে কাওয়াখালির জনসভায় যান তিনি৷ সেই সভা থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ তাঁর নিশানায় ছিল বাম এবং কংগ্রেসও৷
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৪ লক্ষ মহিলাদের উজ্জ্বলা প্রকল্পের সুবিধা নিতে দিচ্ছে না তৃণমূল সরকার৷ ইন্ডিয়া জোট বিনামূল্যে রেশন দেওয়ারও বিরোধিতা করছে৷ বাংলায় দলিত, আদিবাসী, মহিলা বিরোধী তৃণমূল নেতারা আপনাদের জন্য বরাদ্দ রেশন নিয়েও দুর্নীতি করেছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একশো দিনের প্রকল্প, সরকারি বাড়ি তৈরির টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তুলে অনেক দিন ধরেই প্রচারে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের শাসক দল৷ এ দিন তার জবাব দিয়ে পাল্টা প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একশো দিনের টাকা মোদি দিল্লি থেকে পাঠায় কিন্তু এখানকার তৃণমূল সরকার তোলাবাজদের সুবিধা পাইয়ে দিতে ২৫ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ড তৈরি করে৷ বাড়ির টাকা পাঠালে তোলাবাজদের বাছাই করা লোকদের দিয়ে দেয়৷ তৃণমূলের আপনাদের সমস্যায় কোনও কষ্ট হয় না৷ সন্দেশখালিতে গরিব, আদিবাসী, দলিত মহিলাদের সঙ্গে তৃণমূল নেতারা কী করেছে, তার চর্চা আজ গোটা দেশে হচ্ছে৷ মহিলাদের উপর অত্যাচার আর গরিবদের লুঠ করাই তৃণমূলের একমাত্র কাজ৷’