লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই প্রথম দফা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারিও হয়ে গিয়েছে। এ হেন পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশ দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ ২০২৬ সালের নির্বাচন কমিশন আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে ৷ এই মামলাগুলির শুনানিতে বৃহস্পতিবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রে মোদি সরকারকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ৷ ফেব্রুয়ারিতে এক নির্বাচন কমিশনার অবসর নেন ৷ নতুন দুই নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবীর সিং সান্ধুর নিয়োগে স্থগিতাদেশ চেয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন জমা পড়েছিল ৷ এদিন সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত ৷ তবে যে দ্রুততার সঙ্গে এই দুই নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ করা হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত ৷ আদালত আরও জানায়, ভোটের আগে কমিশনার নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। এই প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, তারা ওই দুই নির্বাচন কমিশনারের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে না ৷ কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় দুই কমিশনারকে নির্বাচন করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে ৷ আর মার্চে আরেক কমিশনার ইস্তফা দেন ৷ ৯ তারিখে অরুণ গোয়েলের ইস্তফা দেওয়ার ৪ দিনের মাথায় ২জন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সম্পন্ন হয় ৷ উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদী সরকারের আনা নয়া আইনে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটি থেকে দেশের প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে রাখা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী, তাঁর বেছে নেওয়া আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে। ফলে নিয়োগ কমিটিতে গোড়া থেকেই সরকার পক্ষের সংখ্যাধিক্য থাকছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। কিছু দিন আগেই নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ থেকে একজন কমিশনার অবসর নেন এবং আরেকজন হঠাৎ ইস্তফা দেন ৷ এর ফলে কমিশনে দু’টি শূন্য পদ তৈরি হয় ৷ তাই মার্চের মাঝামাঝি খুব দ্রুত দু’জন নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করা হয় ৷ নির্বাচন কমিশনার অনুপ চন্দ অবসর নেন ফেব্রুয়ারি মাসে ৷ এদিকে আরেক কমিশনার অরুণ গোয়েল মার্চের প্রথম সপ্তাহে আচমকা ইস্তফা দেন ৷ এরপর তড়িঘড়ি কমিশনার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয় ৷ কমিশনার নিয়োগ কমিটিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মোদির মন্ত্রিসভার এক সদস্য এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী ছিলেন ৷ ১৪ মার্চ কমিটির সদস্য কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী নতুন দুই নির্বাচন কমিশনার- জ্ঞানেশ কুমার ও সুখবীর সিং সান্ধুর নাম ঘোষণা করেন ৷ দুই নির্বাচন কমিশনা নিয়োগের বৈঠক সম্বন্ধে অধীর চৌধুরী বলেন, “তাদের (বিজেপি সরকার) সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে (নির্বাচন কমিশনার নিয়োগকারী কমিটিতে) ৷ এর আগে তারা আমায় ২১২টি নাম দিয়েছিল ৷ কিন্তু নিয়োগের ১০ মিনিট আগে তারা আবার আমাকে মাত্র ছয়টি নাম দেয় ।”