পাহাড়ে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ! লোকসভা নির্বাচনের আগে নাটকীয় পালাবদলের মধ্যে দিয়ে অজয় এডওয়ার্ডসের হামরো পার্টি যুক্ত হল ইন্ডিয়া জোটে। আর অজয় এডওয়ার্ডসের ইন্ডিয়া জোটে যুক্ত হওয়ায় পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল। আড়াই বছরের পুরনো এই রাজনৈতিক দলটি ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থীকে সমর্থন করবে বলে জানা গিয়েছে।বৃহস্পতিবার দিল্লিতে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ইন্ডিয়া জোটে যোগ দেন হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ডস। আর যোগ দেওয়ার পরই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান হামরো পার্টির এই নেতা। গত জিটিএ নির্বাচন, দার্জিলিং পৌরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল অজয় এডওয়ার্ডসের হামরো পার্টি। জিটিএ নির্বাচনে পাঁচটি আসনে জয়লাভও করেন তারা। পাশাপাশি প্রথমবার ভোটে লড়ে দার্জিলিং পৌরসভার দখল নেয় তারা।কিন্তু পরবর্তীতে অজয় এডওয়ার্ডসের দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা একে একে শাসকদল অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় যোগ দেন। এই হামরো পার্টি নিজের বেঁচে থাকা সাংগঠনিক শক্তি নিয়েই এবার কংগ্রেসের হয়ে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করবে। বৃহস্পতিতে যোগ দিয়েই অজয় এডওয়ার্ড বলেন, “১৫ বছরে পাহাড়ে একটাও উন্নয়ন করেনি বিজেপি। একের পর এক বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। অগ্নিবীরের নামে পাহাড়ের গোর্খা ভাইবোনদের সঙ্গে ছল করেছে। কংগ্রেস সরকার থাকাকালীন পাহাড়ে কম কাজ হয়েছে। কিন্তু যা হয়েছে তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। সেজন্য আগামী নির্বাচনে আমরা ইন্ডিয়া জোটে থেকে লড়াই চালাব।” প্রসঙ্গত, পাহাড়ে 2004 সালের পর থেকে সাংগঠনিক শক্তি হারাতে শুরু করে কংগ্রেস। দাওয়া নরবুলা শেষ কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন। পাহাড়ে সাংগঠনিক শক্তি না-থাকায় এবারের লোকসভা নির্বাচনে অজয় এডওয়ার্ডসকে হাতিয়ার করে ফের একবার পাহাড়-সহ তরাই, ডুয়ার্স এলাকায় নিজের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে চাইছে কংগ্রেস।