দেশ

ত্রিপুরায় ভোট প্রচারে আসছেন মোদি-শাহ

ত্রিপুরার ২টো লোকসভা কেন্দ্রের একটাও কোনওভাবেই যাতে হাতছাড়া না হয় সেটা নিশ্চিত করতে আদাজল খেয়ে নেমেছে শাসক বিজেপি জোট। ১৯ এপ্রিল পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রের ভোটের আগেই ত্রিপুরায় ছুটে আসছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মোদির আসার কথা ১৫ এপ্রিল, অমিত শাহ আসবেন ১০-এ। এমনটাই খবর বিজেপি সূত্রের। দুজনেই একজোড়া করে সভা করবেন। শাহ-কে দিয়ে আগরতলায় একটা রোড-শো করানোর কথাও রয়েছে। বিরোধী ইন্ডিয়া জোট প্রচারে বিজেপি-র সাম্প্রদায়িক এজেন্ডা, সংবিধান পাল্টে স্বৈরাচারী ধর্মীয় রাষ্ট্র কায়েমের চেষ্টার সঙ্গে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, নির্বাচনী বন্ড দুর্নীতি ইত্যাদি সামনে আনলেও বিজেপি কিন্তু একটানা জোর দিচ্ছে “চিরশত্রু” কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের “সুবিধাবাদী” জোটকে। পশ্চিম আসনের বিজেপি প্রার্থী বিপ্লব দেব-কে কী অপরাধে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে রাতারাতি সরানো হয়েছিল, আবার কেনই বা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিককে বসিয়ে দিয়ে তাঁকেই  রাজ্যসভা সদস্য থাকার পরেও লোকসভায় প্রার্থী করা হল, এ নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। পূর্ব ত্রিপুরা উপজাতি সংরক্ষিত আসনে প্রদ্যোতকিশোরের দিদি কৃতি সিং দেববর্মাকে বিজেপি-র প্রার্থী করায় তিপ্রা মথা-র একাংশ রীতিমতো ক্ষুব্ধ। জনজাতিদের স্বার্থ বিজেপি-র কাছে বিক্রি করার অভিযোগ তথাকথিত “বুবাগ্রা”-র বিরুদ্ধে। এমনকি তাঁর ছবিতে প্রবল উত্তেজিত জনজাতি মহিলাদের জুতো লাঠি ইত্যাদির আঘাত করার দৃশ্যও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। তাছাড়া,  ছত্তিশগড়ের বধূমাতা কৃতি সিং-এর  আগের সরকারি পরিচয়পত্রে “দেববর্মা” না থাকলেও প্রার্থীপদের জন্য নতুন হলফনামা দিয়ে “দেববর্মা” যুক্ত করায়ও বিভ্রান্তি রয়েছে। ছত্তিশগড়ে তাঁর এক নিকটাত্মীয়ের খুনের মামলায় তিনি এবং তাঁর স্বামী মূল সন্দেহভাজন বলে সংবাদ মাধ্যমে খবর ছাপা হয়েছে। ছত্তিশগড়  হাইকোর্ট সে মামলার সিবিআই তদন্তেরও আদেশ দিয়ে রেখেছে বলে খবর। এই সব নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না শাসক শিবিরে। প্রচারের চাকচিক্য, শক্তি দেখানোর আড়ালে সাধারণ মানুষের মধ্যে কিন্তু একটা আশ্চর্য নীরবতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী এলে এই ছবিটা বদলাতে পারে বলে আশা শাসক দলের নেতাদের।