কলকাতা

ঝমঝম বৃষ্টিতে ডুবল সপ্তমীর সন্ধ্যে

কলকাতা: পুজোয় বৃষ্টির আশঙ্কা ছিলই৷ আবহাওয়া দফতর আগাম জানিয়েছিল, পুজোয় এবার বৃষ্টি হবে৷ পূর্বাভাস নির্ভুল প্রমাণ করে সপ্তমীর বিকেলে হাজির ‘বর্ষাসুর’৷কথায় বলে, দিনের শুরুতেই বোঝা যায় গোটা দিন কেমন কাটবে৷ আপ্তবাক্যটি সপ্তমীর দিন একেবারে খাঁটি প্রমাণ হল৷ এদিন সকালে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হয় শহরের নানা প্রান্তে৷ সপ্তমীর দিন প্রকৃতি দেবতার মেজাজ দেখে মন খারাপ হয়ে যায় আপামর বাঙালির৷ সারাদিন এমন চললে বিকেলের সব প্ল্যান ভেস্তে যাবে না৷তবে উৎকন্ঠা দূর হয় কিছুক্ষণ পর৷ কালো মেঘ সরে গিয়ে দেখা দিল সূর্যমামা৷ রোদ ঝলমলে দিন দেখে মুখে হাসি ফুটল বাঙালির৷ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ভাবল, যাক বিকেলে ভালোয় ভালোয় ঠাকুর দেখা যাবে৷কিন্তু প্রকৃতির যে অন্য ভাবনা, তা তখনও গেল না বোঝা৷ অবশ্য আবহাওয়া দফতর আগেই ধরে ফেলে ছিল, সপ্তমীর সন্ধ্যায় বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে৷ কোথায় কোথায় ভারী বৃষ্টিও হতে পারে৷ কিন্তু উৎসবেব মেজাজে মশগুল বাঙালী ব্যস্ত সপ্তমীর সাজপোশাক নিয়ে৷এদিকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই ফের মুখ ভার আকাশের৷ আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা প্রমাণ করে কালো মেঘের সমাবেশ ঘটল আকাশে৷ শুরু হল মেঘের গর্জন৷ তারপরই ঝমঝমিয়ে নেমে হাজির হল ‘বর্ষাসুর’৷ মুষলধারে বৃষ্টির জেরে কোথাও কোথাও দাঁড়িয়ে যায় জল৷ এমন সময় বাইরে বেরিয়ে চরম সমস্যায় পড়েন প্যান্ডেলমুখী মানুষ৷ বৃষ্টির হাত থেকে সাজপোশাক বাঁচতে কোনওরকমে এদিক ওদিক ছুট লাগায় তাঁরা৷আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে গভীর নিম্নচাপ অক্ষরেখা সৃষ্টি হয়েছে৷ সেই কারণে পুজোর প্রতিদিন মেঘ গর্জন করে নামবে বৃষ্টি৷ আশঙ্কা তৈরি হয়েছে নবমী এবং দশমীর দিন৷ কারণ, ওই দিন সবথেকে বেশি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর৷