লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ১৫টি আসনও পাবে না তৃণমূল৷ এ দিন নদিয়ার কৃষ্ণনগরের জনসভা থেকে এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তাঁর আরও দাবি, গোটা দেশে ৫০ আসন পেরোবে না কংগ্রেসও৷ কংগ্রেস, তৃণমূলকে কটাক্ষ করে মোদির প্রশ্ন, এর পরেও বিরোধীরা সরকার গড়ার দাবি করছে কী করে? কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সমর্থনে সভা করতে এসে মোদি বলেন, ‘এটা দেশের ভোট, ভারতের ভোট৷ সেখানে সরকার কে বানাবে? তৃণমূল ১৫টি আসনও জিততে পারবে না৷ সরকার করতে পারবে? কংগ্রেস যত চেষ্টাই করুক, হাফ সেঞ্চুরি পার করবে না গোটা দেশে ৫০টি আসন পাবে কি না, তা নিয়েই চিন্তায়৷ ৫০টি আসন না পেলে সরকার গড়তে পারবে? বাংলায় এক সময় বামেদের সূর্য অস্ত যেত না৷ আর লাল ঝান্ডা তো নজরেই আসছে না৷ বিরোধীরা বরং এনডিএ ৪০০ আসন পাবে কি না তাই নিয়েই চিন্তা করছে৷ এই ভোটে স্পষ্ট, সরকার গড়লে বিজেপি-এনডিএ গড়বে৷’ এ দিনের সভা থেকেও প্রধানমন্ত্রী সন্দেশখালি ইস্যুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ শাসক দলের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতি করার অভিযোগ এনেছেন তিনি৷ কংগ্রেস, তৃণমূল ও বামেদের একযোগে বিঁধে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, তৃণমূল, বামেরা এবং কংগ্রেস কী করছে? রাতদিন মোদির মাথা লাঠি দিয়ে ফাটিয়ে দেব, মোদিকে গুলি মেরে দাও, এসব বলছে৷ কিন্তু আমি কাপুরুষদের দলে নই৷ নামদাররা বুঝে নিক, কামদাররা ভয় পায়৷ গরিবরা ভয় পেয়ে বাঁচে না৷ আমিও দারিদ্র থেকে উঠে এসেছি, ফলে ভয় শব্দটি আমার অবিধানে নেই৷ আমাকে যত গালি দেবেন, আমি আরও বেশি করে দেশবাসীর সেবা করব৷’ দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে বিঁধে মোদির কটাক্ষ, ‘বাংলায় এত টাকা উদ্ধার হয়েছে যে টাকা গুনতে গুনতে মেশিনও হাঁপিয়ে উঠত৷ আপনারা চান এখানে তৃণমূলের তোলাবাজ আর মহিলাদের উপরে অত্যাচারীরা কড়া শাস্তি পাক৷ যে তৃণমূল গরিবের রেশনও চুরি করেছে, তাদের থেকে আর কী আশা করা যায়৷’