দেশ

ভোট মিটতেই জেলে ফিরলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া অন্তবর্তী জামিনের মেয়াদ শেষ হতেই আত্মসমর্পণ করলেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সকালে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিহার জেলে ফিরে যান তিনি। এরপরই জনতার উদ্দ্যেশে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, “আপনারা সকলে নিজেদের যত্ন নেবেন। জেল থেকে সকলের জন্য চিন্তা হবে আমার। আপনারা সকলে খুশি থাকলে আমিও খুশি। জয় হিন্দ!” পাশাপাশি কনট প্লেসে হনুমান মন্দিরেও পুজো দেন তিনি। আত্মসমর্পণের পরেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তাঁর রক্তচাপ এবং সুগার পরীক্ষা করে মান রেকর্ড করা হয়। আপ নেতাদের দাবি, ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশ হবে। সেদিন একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটবে এবং আসল সত্য প্রকাশিত হবে। ৪ জুনের পরেই অরবিন্দ কেজরিওয়াল জেল থেকে বেরিয়ে আসবেন বলে দাবি করেছেন আপ নেতারা। দিল্লির মন্ত্রী এবং আপ নেত্রী অতিশি বলেন, “অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ২১ দিনে জামিন দেওয়ার জন্য আমরা সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই ২১ দিনে তিনি ইন্ডিয়া জোটের বিভিন্ন দলের হয়ে প্রচার করেছেন। কারণ এই নির্বাচন শুধুমাত্র একটি দলের নয়, এই নির্বাচন দেশের সংবিধান রক্ষার লড়াই। আমরা বিচারব্যবস্থাকে সম্মান করি, সেই কারণে কেজরিওয়াল নির্ধারিত দিনেই আত্মসমর্পণ করলেন।” জেলে আত্মসমর্পণের সময় কেজরিওয়ালের সঙ্গে ছিলেন দলের নেতা এবং দিল্লির মন্ত্রিসভার সদস্যরা। তার আগে দলীয় কার্যালয়ে যান তিনি। তিহার জেলে আত্মসমর্পণের আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভগৎ সিং বলেছিলেন, ক্ষমতা যখন একনায়কতন্ত্রে পরিণত হয়, তখন জেল দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। দেশকে স্বাধীন করতে ফাঁসি হয়েছিল ভগৎ সিং এর। আজ যখন আমি জেলে যাচ্ছি, আমি জানি না, কবে ফিরে আসব। যদি ভগৎ সিং এর ফাঁসি হয়ে থাকে, আমিও ফাঁসির জন্য প্রস্তুত।” তিনি আরও বলেন, “একটি সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বা কিছু উদ্ধার হয়নি। কারণ, কেজরিওয়াল একজন অভিজ্ঞ চোর। ধরা যাক, কেজরিওয়াল একজন অভিজ্ঞ চোর, হাতে কোনও প্রমাণ নেই তারপরেও আমায় জেলবন্দি করা হয়েছে। তিনি সারা দেশকে বার্তা দিয়েছেন যে, যদি আমি ভুয়ো অভিযোগে জেলে ভরতে পারি, তাহলে তাহলে আপনাদের কী অবস্থান? আমি যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারি এবং জেলে ভরতে পারি। এই একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমি লড়াই করব এবং দেশ এই ধরণের একনায়তন্ত্র বরদাস্ত করবে না।” আপ নেতার কথায়, “আমায় জেলে যেতে হচ্ছে কোনও দুর্নীতির জন্য নয়, একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। প্রধানমন্ত্রীর দেশবাসীর সামনে স্বীকার করেছেন যে, আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।”