জেলা

শুভেন্দুর খাস তালুকে ফের খুন তৃণমূল নেতা

 তমলুক: ফের উত্তপ্ত শুভেন্দুর এলাকা৷ একের পর তৃণমূল নেতার খুনের ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ সব ঘটনায় অভিযোগের তীর বিরোধী দল বিজেপির দিকে৷ দুর্গাপুজোর নবমীর দিন পাঁশকু়ড়ায় তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যর খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল ময়নায়৷মৃত প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের নাম বসুদেব মণ্ডল৷ বাকচার বরুণা গ্রামের বাসিন্দা তিনি৷ সোমবার দুপুরে তাঁকে রাস্তার পাশে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা খবর দেয় পুলিশে৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যকে উদ্ধার করে ময়না হাসপাতালে নিয়ে যান৷সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ তাঁর মৃত্যুর সংবাদ গ্রামে ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা সহ গ্রামবাসীরা৷ তৃণমূল অভিযোগ করে বিজেপির লোকেরা তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে৷ এর প্রতিবাদে ময়নাতে পথ অবরোধ শুরু করে তৃণমূল৷ময়না ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুব্রত মালাকার বলেন, ‘‘বাসুদেব মণ্ডলকে বিজেপির লোকেরা পিটিয়ে মেরে ফেলেছে৷ তিনি সোমবার ময়না বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিজেপির লোকেরা মারধর করে মেরে ফেলেছে৷ আমরা দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি৷’’অপর দিকে বিজেপির অভিযোগ প্রকাশ্য দিনের বেলা রাস্তার উপর মারধর করলে কেউ দেখতে পেল না৷ বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন, ‘‘বিজেপির লোকেরা কেন মারতে যাবে৷ ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে এমন কিছু ঘটেছে বলে মনে হয়৷’’তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অতীশ বিশ্বাস বলেন, “পুলিশ মোতায়েনে এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ মৃতের পরিবারের লোকেদের অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে৷ দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে৷ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে৷”প্রসঙ্গত, নবমীর রাতে নিজের অফিসেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতার৷ মৃত তৃণমূল নেতা কুরবান শা’র(৩২) পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি৷ কার্যত প্রকাশ্যে দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে৷ এই ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে৷ এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের এই ধরণের ঘটনায় ক্ষিপ্ত জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব৷