এনডিএ-র অন্দরেই জাতভিত্তিক জনগণনা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে৷ এনডিএ-র শরিক দলগুলির কয়েকটি চায় না, জাতভিত্তিক জনগণনা করা হোক৷ কয়েকটি দলের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা ঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য অবশ্যই জাতভিত্তিক জনগণনা প্রয়োজন৷ এই দ্বিমতের মধ্যেই মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গড়করি৷ শনিবার মহারাষ্ট্রের পুনেতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গড়করি স্পষ্ট জানিয়েছেন, সকলের কল্যাণ করা হোক, এক্ষেত্রে কারও জাতপাত বিবেচনা করার প্রয়োজন নেই। তবে কি জাতভিত্তিক জনগণনা ইস্যুতে আগেই মোদী সরকারকে সতর্ক করে দিলেন সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ বর্ষীয়ান এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? এর আগে বিমা ও স্বাস্থ্য বিমার উপর থেকে ১৮ শতাংশ জিএসটি প্রত্যাহার করার ইস্যু নিয়েও সরকারের নীতির বিরুদ্ধাচারণ করেছিলেন গড়করি৷ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখে দ্রুত এই জিএসটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলেন তিনি৷ গড়করির কথায়, ‘কয়েক দশক ধরে আমি রাজনীতিতে আছি৷ আমার প্রধান এবং একমাত্র লক্ষ্য সমাজ সেবা করা৷ আদর্শের সঙ্গে কখনও সমঝোতা করিনি৷ লোকসভা ভোটের আগে প্রচুর লোক আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন৷ আমি সকলকে বলেছি, কোনও লোক তাঁর ধর্ম বা জাতপাতের গুণে বড় হন না, বড় হন তাঁর গুণে৷ সাধুসন্তরা শিক্ষা দিয়েছেন সমাজ থেকে জাতপাতের ভেদাভেদ মুছে ফেলতে হবে৷ সকলের উন্নয়ন করতে হবে।’ জাতভিত্তিক জনগণনা ইস্যুতে আগেই মোদী সরকারকে সতর্ক করেছে সঙ্ঘ পরিবার৷ গত মাসে কেরালায় সঙ্ঘ পরিবারের কার্যকারিণী বৈঠকের পরে আরএসএসের সুনীল আম্বেকর বলেছিলেন, ‘দেশের সামগ্রিক বিকাশ এবং উন্নয়নের কাজেই ব্যবহার করতে হবে জাতভিত্তিক জনগণনাকে৷ কোনও রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য নয়।’